মামলা জট কমাতে সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই : আইনমন্ত্রী

406

ঢাকা, ৩ জুলাই, ২০১৯ (বাসস ) : মামলা জট কমাতে সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলাজট আমাদের একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মামলা জট সমস্যাটা সিঙ্গাপুরেও ছিল এবং সেটা তারা অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে সমাধান করেছেন। বাংলাদেশের মামলা জট কমাতে আমরা সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারি। কারণ তারা যেসব পদক্ষেপ নিয়ে মামলার জট কমিয়েছেন, তার অনেকগুলো পদক্ষেপই আমাদের দেশে গ্রহণ করা সম্ভব এবং সেটা অত্যন্ত বাস্তব সম্মত।
আইনমন্ত্রী বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজের আবাসিক অফিসে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহ’র সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, হাই কমিশনার জানিয়েছেন তাদের ওখানে মানব সম্পদের সমস্যা থাকার কারণে তাদের পক্ষে বাংলাদেশে এসে এক্সপার্টিজ শেয়ার করা কঠিন। তাই আমাদের সিঙ্গাপুরে গিয়ে তাদের এক্সপার্টিজ গ্রহণ করতে হবে। এটা প্রশিক্ষণ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা মূলত দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। একটি হলো আইন সংক্রান্ত এবং অন্যটি বিনিয়োগ সংক্রান্ত।
সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী মহল আমাদের দেশে বিনিয়োগে অত্যন্ত আগ্রহী। হাই কমিশনার জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্পর্কিত আইন ও পরিবেশ তাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূলে। তাই সে দেশ থেকে প্রচুর বিনিয়োগ এ দেশে আসছে।
আনিসুল হক বলেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আমরা অনেক বিনিয়োগ বান্ধব আইন করেছি। বিনিয়োগকারী বিদেশী কোম্পানীগুলো কেবল বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেই ১০০ শতাংশ মুনাফা নিয়ে যেতে পারেন, যেটি আর কোন দেশে নাই।
আইনমন্ত্রী বলেন, “তারপরেও এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে বিনিয়োগের পরিবেশ আরো উন্নত করতে প্রয়োজন হলে আমরা সংবিধানের মধ্যে থেকে আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা সংশোধন করবো। তার কারণ আমরা বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ চাই।”
আইনমন্ত্রী বলেন, হাই কমিশনার সিঙ্গাপুরে ফিরে গিয়ে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ঢাকায় সিঙ্গাপুরের হাইকমিশন অফিস স্থাপনের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করবেন।
হাই কমিশনার ডেরেক লোহ বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে তাদের রাজনীতি ও ব্যবসা পরিচালনা করে সেটিকে পাশে রেখেই আমরা দুই দেশ নিজেদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় করতে পারি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, এ দেশে বিনিয়োগের জন্য এটিই আমাদের মূলনীতি। বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।
বৈঠকে বিনিয়োগ, সম্পর্কোন্নয়নের বিভিন্ন উপাদান, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের আইনসংক্রান্ত বিষয়, সেগুলোর আধুনিকায়ন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীসহ বিভিন্ন বিষয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানান হাইকমিশনার।