প্রতিপক্ষের প্রতি কামিন্সের সতর্ক বার্তা

529

লন্ডন, ২ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ দলগুলোর প্রতি সতর্ক উচ্চারণ করে অস্ট্রেলিয়ার জ্বলে ওঠা পেসার প্যাট কামিন্স বলেছেন তারা হয়তো ‘ক্লিক’ করেছেন তবে মেগা এ ইভেন্টে এখনো সেরা পারফরমেন্স দেখানো হয়নি।
সর্বশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতেই টুর্নামেন্টে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে এ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া। এরপর লর্ডসে শনিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকবার পারফরমেন্সের ঝলক দেখিয়েছেন অসিরা।
এরপর গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকার। শনিবার ম্যানচেস্টারে ম্যাচের আগে এক সপ্তাহ বিশ্রাম পাওয়ায় অসিদের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে প্রোটিয়াদের।
সাংবাদিকদের কামিন্স বলেন, ‘আমি মনে করি সব কিছুই- ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, ম্যাচ পরিকল্পনা সব কিছুই ভাল হচ্ছে, যেমনটা আমরা চেযেছিলাম।’
‘এমনকি আমি মনে করছি সবাই নিজেদের এবং অন্য সকলে দায়িত্বে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। এজন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন আমি মনে করি তবে সকলেই খুব ভাল অবস্থায় আছে।
‘আমরা যেভাবে বলেছি পারফরমেন্স দিয়ে সেভাবেই করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতি ম্যাচেই আমাদের ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।’
মিচেল স্টার্কের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ বিভাগ টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ডকে ১৫৭ রানে গুটিয়ে দেয়ার আগে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে ২২১ রানে আটকে দিয়েছে।
জেসন বেহরেনডর্ফ প্রমোশন পেয়ে স্টার্কের সঙ্গে বোলিং ওপেন করায় প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে আসাটা কামিন্সের উন্নতি চাবি-কাঠি।
কামিন্স গত দুই ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট শিকার করলেও মিডল অর্ডারে ব্যাটসম্যানের রান আটকাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখছেন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি কেবলমাত্র অভিজ্ঞ রস টেইলরের উইকেটটি নিতে সক্ষম হয়েছে। তবে ৬ ওভারে তিনি মাত্র ১৪ রান খরচ করেছেন।
নতুন বল থেকে প্রথম পরিবর্তিত বোলার হওয়া সম্পর্কে কামিন্স বলেন, ‘আমি মনে করছি এটা বড় একটা পরিবর্তন। লাল বলের তুলনায় এটা অনেক ভিন্ন ধর্মী। যেখানে বল কিছুটা শক্ত থাকে এবং সুয়িং করার সুযোগ থাকে।’
‘জেসন ও স্টার্ক ফ্রন্ট লাইন বোলার হিসেবে অসাধারণ করছে। আমার কাজ হচ্ছে তাদেরকে কিছুটা সাহায্য করতে চেষ্টা করা যাতে তারা ঝুকি নিতে পারে। আমার মনে হয় সে কাজটা যথার্থভাবেই আমি করছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগামী ম্যাচটি হবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য নিয়ম রক্ষার। তবে ২০১৮ সালের মার্চে কেপ টাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারীর কারণে এ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এ ম্যাচেই প্রথম ফাফ ডু প্লেসিসের দলের মুখোমুখি হচ্ছে অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ।
গত মার্চের শেষ সপ্তাহে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর চলতি টুর্নামেন্টে খেলতে নামা ওয়ার্নার ও স্মিথকে মাঠে দুয়ো ধ্বনি শুনতে হচ্ছে। তবে এগুলোকে কোন পাত্তা দিচ্ছেন না তারা। ওয়ার্নার এখন ৫১৬ রান নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংগ্রহকারী। স্মিথের সংগ্রহ ২৮৭।
তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচে বল টেম্পারিং খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে মনে করছেন না কামিন্স।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি আইপিএলে দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু খেলোয়াড়দের সঙ্গে কিছু ম্যাচ ডেভ ও স্মিথ খেলেছে এবং এর আগেই খেলেছে। সুতরাং কিছু হবে এমনটা আমি মনে করছি না।’