বাসস দেশ-১৮ : ঐক্যফ্রন্ট ও বিশ দলীয় জোটের অনৈক্য প্রকাশ করায় অলিকে অভিনন্দন তথ্যমন্ত্রীর

599

বাসস দেশ-১৮
হাছান মাহমুদ-জোট
ঐক্যফ্রন্ট ও বিশ দলীয় জোটের অনৈক্য প্রকাশ করায় অলিকে অভিনন্দন তথ্যমন্ত্রীর
চট্টগ্রাম, ২৮ জুন, ২০১৯ (বাসস) : জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিশ দলীয় জোটের মধ্যে অনৈক্য প্রকাশ করার জন্যে এলডিপি’র সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, এখন অলি আহমদ রাজনীতির কোন জোটে আছেন তা প্রশ্ন থেকে যায়। তিনি কি নিজে ঘোষিত জোটের নেতা হিসেবে আছেন নাকি বিশ দলীয় জোটের নেতা হিসেবে আছেন, নাকি ঐক্যফ্রন্টের নেতা হিসেবে আছেন। এটা একটি বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাজনীতির মাঠে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি ঐক্য ফ্রন্টের মধ্যে যেমন ঐক্য নাই তেমনি বিশ দলীয় জোটের মধ্যেও ঐক্য নাই। তাদের মধ্যে যে ঐক্য নাই সেটির বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে অলি আহমদের আলাদা জোট গঠন করা। তিনি কর্নেল (অব.) অলিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আশাকরি তিনি তার পরিচয় জনগণের সামনে তুলে ধরবেন।
হাছান মাহমুদ আজ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন। আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদদের কেনা বেচার হাট বসিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন। সেই হাটে যারা বিক্রি হয়েছিলেন তাদের মাঝে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়েছেন। সেই কারণে দেখতে পাচ্ছি বিএনপি অফিসে ১০ই জুন থেকে বিক্ষোভ চলছে। ১৮ দিনের বেশি সময় ধরে নিজেদের অফিস যেখানে সাধারণ কর্মীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন তারা নাকি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করবেন।
যারা নিজেদের কর্মীদের তুষ্ট করতে পারেন না, শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে পারেন না তারা দেশের মানুষকে কিভাবে খুশি রাখবেন এবং দেশ কিভাবে পরিচালনা করবেন প্রশ্ন রাখেন হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগকে একবিংশ শতাব্দীর একটি দল হিসেবে গড়তে চায় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যদি থাকতে চাইলে জনগণকে খুশী রাখতে হবে। তাদের খুশী রাখতে হলে আমাদের বিনয়ী হতে হবে। জনগণ আমাদের ভোট নাদিলে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব পর নয়।
দেশের উন্নতি করতে হলে একটি দলের ক্ষমতার ধারাবাহিকতা থাকা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সমস্ত আচার আচরণে মানুষ যাতে আমাদের উপর সন্তুষ্ট থাকে তা দেখতে হবে। যারা বিএনপি ও তাদের ঘরানার রাজনীতি করেন তাদের সাথে আমাদের কর্মীদের যে পার্থক্য আছে সেই রাজনৈতিক চেতনা ও উৎকর্ষ বজায় রাখতে হবে।
বাসস/জিই/এসকেবি/কেসি/২১২০/-এসই