বাসস ক্রীড়া-১১ : দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং তোপে ২০৩ রানে অলআউট শ্রীলংকা

286

বাসস ক্রীড়া-১১
ক্রিকেট-শ্রীলংকা-দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং তোপে ২০৩ রানে অলআউট শ্রীলংকা
চেষ্টার-লি-স্ট্রিট, ২৮ জুন ২০১৯ (বাসস) : দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে দ্বাদশ বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০৩ রানেই অলআউট হয়েছে শ্রীলংকা।
সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ধুলিসাৎ হওয়ায়, লিগ পর্বে শেষ দু’টি ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য নিয়মরক্ষার। চেষ্টার-লি-স্ট্রিটে নিয়মরক্ষার ম্যাচে আজ শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলতে নেমে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় প্রোটিয়ারা। ইনিংসের প্রথম বলেই শ্রীলংকার অধিনায়ক দিমুথ করুনারতœকে শুন্য হাতে বিদায় দেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। ফলে শুরুতেই বড় ধরণের ধাক্কা খায় শ্রীলংকা।
তবে এই ধাক্কা দ্রুতই কাটিয়ে উঠে শ্রীলংকা। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা ভুলিয়ে দেন শ্রীলংকার আরেক ওপেনার উইকেটরক্ষক কুশল পেরেরা ও তিন নম্বরে নামা আবিস্কা ফার্নান্দো। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিপক্ষে মারমুখী ব্যাট চালান পেরেরা ও ফার্নান্দো। ফলে শুন্য রানে প্রথম উইকেট হারিয়েও ৯ ওভারে ৫৭ রান পেয়ে যায় শ্রীলংকা।
তবে দশম ওভারে পেরেরা-ফার্নান্দোর পথে বাঁধা হয়ে দাড়ান দক্ষিণ আফ্রিকার ডান-হাতি পেসার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। ফার্নান্দোকে ৩০ রানে থামিয়ে দেন তিনি। পরের ওভারেই পেরেরাকেও বিদায় দেন প্রিটোরিয়াস। ফলে ৫ রানের ব্যবধানে উইকেটে সেট হয়ে থাকা পেরেরা ও ফার্নান্দোকে হারায় শ্রীলংকা। দু’জনই ৪টি করে চারের সহায়তায় ৩০ রান করে করেন। তবে পেরেরা ৩৪ ও ফার্নান্দো ২৯ বল মোকাবেলা করেন।
৭২ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর শ্রীলংকাকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস ও সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। তবে দলের জন্য একত্রে বেশি রান যোগ করতে পারেননি তারা। ১১ রানে থাকা ম্যাথুজকে বিদায় দেন দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক পেসার ক্রিস মরিস। ১টি চারে ২৯ বলে ১১ রান করেন ম্যাথুজ।
ম্যাথুজের সাথে ২৮ রান যোগ করা মেন্ডিস খেলছিলেন ধীরলয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামলাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। তবে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন মেন্ডিস। আবারো দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে উইকেট শিকারে মেতে উঠেন প্রিটোরিয়াস। ২টি চারে ৫১ বলে ২৩ রান করা মেন্ডিসকে দলীয় ১১১ রানে আউট করেন প্রিটোরিয়াস।
কিছুক্ষণবাদে শ্রীলংকার মিডল-অর্ডারের আরেক ভরসা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে বোল্ড করে শ্রীলংকার ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটনার দক্ষিণ আফ্রিকার অফ-স্পিনার জেপি ডুমিনি। ডি সিলভাও রান তুলেছেন ধীর গতিতে। ২টি চারে ৪১ বলে ২৪ রান করেন তিনি। এ অবস্থায় দেড়শ’র নীচে গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে যায় শ্রীলংকা।
তবে শ্রীলংকাকে অল্প রানে গুটিয়ে যাবার লজ্জা থেকে রক্ষা করেন জীবন মেন্ডিস ও থিসারা পেরেরা। সপ্তম উইকেটে ২৮ রান যোগ করেন তারা। জীবন ১৮ রানে ফিরলেও, বোলার ইসুরু উদানাকে নিয়ে ২১ রানের জুটি গড়েন পেরেরা। ফলে সম্মানজনক স্কোরের পথ পায় শ্রীলংকা। তবে দলীয় ১৮৪ রানে থিসারা নামের পাশে ২১ রান রেখে ফিরলে লংকানদের ২শ স্কোর করার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়।
কিন্তু শ্রীলংকার টেল-এন্ডাররা ঠিকই শ্রীলংকার স্কোর ২শ অতিক্রম করান। উদানার ১৭, সুরাঙ্গা লাকমলের অপরাজিত ৫ ও লাসিথ মালিঙ্গার ৪ রানে ২শ পেরিয়ে অলআউট হয় শ্রীলংকা। ৩ বল বাকী থাকতে অলআউট হবার আগে ২০৩ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। দক্ষিণ আফ্রিকার মরিস-প্রিটোরিয়াস ৩টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : (টস-দক্ষিণ আফ্রিকা)
শ্রীলংকা : ২০৩/১০, ৪৯.৩ ওভার (কুশল পেরেরা ৩০, ফার্নান্দো ৩০, ডি সিলভা ২৪, কুশল মেন্ডিস ২৩, প্রিটোরিয়াস ৩/২৫, মরিস ৩/৪৬)।
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৯৩০/ স্বব