বাসস ক্রীড়া-১০ : ট্রান্স-তাসমান লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড

298

বাসস ক্রীড়া-১০
ক্রিকেট-বিশ্বকাপ
ট্রান্স-তাসমান লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড
লন্ডন, ২৮ জুন, ২০১৯ (বাসস) : বহুল প্রত্যাশিত ট্রান্স-তাসমান লড়াইয়ে বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। চলমান বিশ্বকাপের ৩৭তম ও দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামীকাল সঠিক সময়ে জ্বলে ওঠা অস্ট্রেলিয়া মোকাবেলা করবে টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ও একমাত্র পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া নিউজিল্যান্ডের। উভয় দলকেই টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত একটি করে ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া কেবলমাত্র ভারতের কাছে পরাজিত হলেও টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে ইতোমধ্যেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
ফর্মের তুঙ্গে থাকা এ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন দলটি লর্ডসেও জয়ের সুখস্মৃতি অব্যাহত রাখতে চাইবে।
পক্ষান্তরে পাকিস্তানের বিপক্ষে এবং টুর্নামেন্টের একমাত্র পরাজয়ের পর এ ম্যাচে মাঠে নামছে নিউজিল্যান্ড।
এ পর্যন্ত দল অপরিবর্তিত রেখে সাত ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে কিউইরা। আগামীকাল অস্ট্রেলিয়া এবং ৩ জুলাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেসহ মোট দুটি ম্যাচ বাকি আছে কেন উইলিয়ামসনের দলের। এ দুই ম্যাচ থেকে অন্তত একটি জয় পেলেই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে তাদের।
২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিল উভয় দল। সে ম্যাচের স্মৃতি এখনো দুই দলের কাছেই তাজা। সুতরাং আগামীকালের ম্যাচটি হতে পারে উত্তেজনায় ভরপুর।
ট্রান্স-তাসমান প্রতিযোগিতায় নিউজিল্যান্ডের ফল খুবই হতাশাজনক। প্রায় সব ম্যাচেই জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে ২০টি ওয়ানডের মধ্যে দুই দেশের বাইরে একটিমাত্র ম্যাচে জয় জয় পেয়েছে কিউইরা। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে সোফিয়া গার্ডেন্সে একমাত্র জয়টি পায় নিউজিল্যান্ড।
বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত দুই দল সাতবার মুখোমুখি দুই দল। তবে ১৯৯৯ আসরের ঐ জয়টিই নিউজিল্যান্ডের একমাত্র সাফল্য।
কেবল ইতিহাস নয় দুই দলের বর্তমান ফর্ম বিবেচনা করলেও আগামীকালের ম্যাচে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াই স্পস্ট ফেবারিট।
নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া স্বাগতিক ও তৎকালীন সময়ে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল ইংল্যান্ডেকে ৬৪ রানে পরাজিত করেছে। এবং এখন যা অবস্থা ততে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলের মধ্যেই কেউ শিরোপা জিতবে বলে মনে হচ্ছে।
ওপেনার হিসেবে ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার টুর্নামেন্টে এককভাবে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে এবং একটা বিশ্বকাপে এ যাবতকালের সেরা জুটির হওয়ার পথে আছেন।
টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছেন তারা। দুজনেই সমান তিনটি করে সেঞ্চুরি করেছেন এবং লীগ পর্বে এখনো তাদের দুই ম্যাচ বাকি আছে।
ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক ১৮.২৬ স্ট্রাইক রেটে ১৯ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ শিকারী তালিকার শীর্ষে আছেন। নিজের বাউন্স, সুয়িং এবং গতি দিয়ে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
নতুন কুকাবুরা বলে দারুন ছন্দে আছেন জেসন বেহরেনডর্ফও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে তিনি ৪৪ রানে ৫উইকেট শিকার করেছেন।
পক্ষান্তরে এ ম্যাচেও আবারো অধিনায়ক কেন উইলিয়মসনের ওপড় খুব বেশি নির্ভর করতে হবে নিউজিল্যান্ড দলকে। পাঁচ ম্যাচে ১৩৮ গড়ে এ পর্যন্ত ৪১৪ রান করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরি আছে মাত্র একটি। ২০১৭ চ্যাস্পিয়ন্স ট্রফিতে তার একমাত্র সেঞ্চুরির ম্যাচটিও শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে ভেসে যায়।
তাছাড়া সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার রেকর্ডও খুব ভাল নয়। ক্যারিয়ারে যেখানে তার ব্যাটিং গড় ৪৮.১২ সেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উইলিয়ামসনের গড় ১২ ওয়ানডেতে ৪১.৬ গড়ে ৪১৬ রান।
দল:
নিউজিল্যান্ড: মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেইলর,ইস সোধি, জেমস নিশাম. কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, লোকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট, টম লাথাম.হেনরি নিকোলস, টিম সাউদি, টম ব্লান্ডেল।
অস্ট্রেলিয়া: এ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, এ্যালেক্স ক্যারি(উইকেটরক্ষক), প্যাট কামিন্স, নাথান কালটার নাইল, মিচেল স্টার্ক, এডাম জাম্পা, জেসন বেহরেনডর্ফ, নাথান লিঁয়, শন মার্শ, কেন রিচার্ডসন।
বাসস/১৯১৫/স্বব