রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন

690

ঢাকা, ২৪ জুন, ২০১৯ (বাসস) : বিদ্যমান ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ পণ্য পরিবহনের বিধান রেখে প্রণীত রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজের সুরক্ষায় নতুন আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ‘বাংলাদশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম আজ বিকেলে সচিবালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন, মন্ত্রিসভা ‘বাংলাদশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) আইন, ২০১৯’ ও ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১৯’ শীর্ষক দুটি আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। তিনি জানান, বৈঠকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক নীতিমালা, ২০১৯’-তেও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) আইন, ২০১৯’-এ বিদ্যমান ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ পণ্য পরিবহনের বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আইন লংঘনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা প্রশাসনিক শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।’ তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশকে সরকার আইনে পরিণত করছে।
শফিউল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) আইনে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে বিকেএসপি’র বোর্ড মিটিংয়ের কোরাম পূরণ হওয়ার জন্য বোর্ড সদস্য সংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে এক তৃতীয়াংশ করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, এতে ছয় মাসের মধ্যে বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠানের বিধান এবং নির্বাচিত সদস্যদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রতি দু’বছর পর পর একুশে ফেব্রুয়ারির আগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক প্রদানের বিধান রেখে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক নীতিমালা, ২০১৯’-এও মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এ পদকের প্রাইজ মানি ৪ লাখ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৫ হাজার মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া একুশে পদকের প্রাইজ মানি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও বিকাশে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টি দেশের মধ্যে শীর্ষ জিডিপি প্রবৃদ্ধির দেশ হওয়ায় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানায়।
মন্ত্রিসভাকে ২৮ থেকে ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর সম্পর্কে অবহিত করা হয়। বৈঠকে জানানো হয় যে জাপান রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে এবং দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি যৌথভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া মন্ত্রিসভাকে ৩১ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফর সম্পর্কেও অবহিত করা হয়, সেখানে তিন ওআইসির ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন এবং এশিয়ান গ্রুপের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন।