বাসস দেশ-১৯ : শাহজালাল বিমানবন্দরে ৩টি ই-পাসপোর্ট গেট স্থাপন

335

বাসস দেশ-১৯
শাহজালাল-ই-পাসপোর্ট গেট
শাহজালাল বিমানবন্দরে ৩টি ই-পাসপোর্ট গেট স্থাপন
ঢাকা, ২৪ জুন, ২০১২৯ (বাসস) : রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে তিনটি ই-পাসপোর্ট গেট বসানো হয়েছে।
নাগরিকদের ই-পাসপোর্টের সুবিধা দিতে এসব গেট বসানো হয়।
এই কার্যক্রম শুরু হলে দেশের প্রধান এ বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আগের চেয়ে আরও সহজ হবে। ই-পাসপোর্ট থাকলে কয়েক সেকেন্ডেই পার হতে পারবে যাত্রীরা। এমনকি আগের মতো যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে না।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব ই-গেট আনা হচ্ছে। প্রথম দফায় মে মাসে কয়েকটি ই-গেট দেশে আনা হয়। চলতি মাসে তিনটি গেট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা হয়। ভেরিফিকেশনে ব্যক্তির তথ্য সঠিক থাকলে ই-পাসপোর্ট গেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এপিবিএন ও ইমিগ্রেশন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা আজ বাসসকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আগামী ১জুলাই থেকে নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া শুরু হবে৷
তিনি বলেন, ই-পাসপোর্টের সুফল দিতে পরীক্ষামূলকভাবে শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনটি গেট স্থাপন করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবা সুরক্ষা বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেনাপোল ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫০টি ই-গেট স্থাপন করা হবে। জুলাইয়ে পৃথিবীর ১২০তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্টের জগতে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।
বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হতে একজনের ৫ থেকে ৭ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু ই-পাসপোর্ট থাকলে কয়েক সেকেন্ডেই পার হতে পারবে যাত্রীরা। এমনকি আগের মতো যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে না।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ই-গেট এমন একটি প্রযুক্তি, যা দ্রুততম সময়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। ই-গেটে গমন বা আগমনকারী ব্যক্তির পাসপোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিডার ও ক্যামেরার সাহায্যে পাসপোর্ট যাচাই, ফিঙ্গার প্রিন্ট ও রিকগনিশনের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন শেষ করা হবে। ভেরিফিকেশনে ব্যক্তির তথ্য সঠিক থাকলে ই-পাসপোর্ট গেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বাসসকে জানান, কোনো ভুয়া পাসপোর্টধারী ইমিগ্রেশন পার হওয়ার চেষ্টা করলেই ধরা পড়ে যাবে ই-গেটে। ফলে কোনো অপরাধী পরিচয় গোপন করে ই-গেট অতিক্রম করতে পারবে না।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২০০৩/কেএমকে