বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : এসএসএফকে ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

518

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
আবদুল হামিদ-এসএসএফ
এসএসএফকে ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ঢাকা, ২৩ জুন, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা গড়ে তোলার জন্য সকল সহযোগী এজেন্সীর সাথে সুসম্পর্ক, নিবিড় যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখার পাশাপাশি ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখার জন্য এসএসএফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএসএফের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বলেন, ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন। তবে, সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, আপনাদের কোন আচরণে সাধারণ জনগণ যেন কষ্ট না পায়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এসএসএফ সদস্যদের মনে রাখতে হবে, তাদের ওপর অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব অর্পিত। আর জনগণ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয়, বরং জনসম্পৃক্ততা স্বাভাবিক রেখে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে আপনাদের কৃতিত্ব।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, সাধারণ জনগণের সাথে কোন ধরনের ব্যবধান সৃষ্টি না করে সর্বোচ্চ পেশাদারি সেবা দিতে পারলে এসএসএফ প্রশংসা অর্জন করবে। তিনি বলেন, ‘সবসময় দু’টি জিনিস পাশাপাশি মনে রাখবেন.. নিরাপত্তা ও জনসংযোগ ইস্যু।’
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, এই বাহিনী উন্নত মানব সম্পদ, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, প্রশ্নাতীত আনুগত এবং পেশাদারিত্বের মানদন্ডে একটি চৌকষ ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসাবে গড়ে উঠবে।
আবদুল হামিদ বলেন, এসএসএফের প্রতিটি সদস্যকে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা বিধানে পরিবর্তনশীল সময়ের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হতে হবে।
রাষ্ট্রপতি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এই বাহিনীর অবদান স্মরণ করে বলেন, এসএসএফ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত ও সর্বোপরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের কারণে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।’
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, সুযোগ্য নেতৃত্ব, সঠিক দিক-নির্দেশনা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে এসএসএফ একটি আদর্শ নিরাপত্তা বাহিনী হয়ে উঠবে।
১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর এ বাহিনীর নাম ছিল প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (পিএসএফ)। পরবর্তীতে এটির নাম পরিবর্তন করে এসএসএফ করা হয় এবং এর উপর সরকার প্রধান ও ভিভিআইপি এবং বিদেশী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্বও অর্পিত হয়।
সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী এবং পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে বাছাইকৃত সদস্যদের এসএসএফ-এ নিয়োগ দেয়া হয়।
এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। পরে একটি নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
বাসস/এসআইআর/অনুবাদ-এইচএন/২২১৫/আরজি/এবিএইচ