দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস : স্পিকার

720

ঢাকা, ২২ জুন, ২০১৯ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের রয়েছে বিজয়গাথার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, সে কারণেই এগিয়ে গেছে সভ্যতা ও সমাজ।
স্পিকার আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ৪৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ ইতিহাসে ‘নারী: দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলন আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান’,৭১ এর মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে বাধা অতিক্রম করে নারীরা এগিয়ে এসেছে। শুধু বাংলাদেশ নয় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় তারা সফলতার দৃষ্টান্ত রাখছে। যা অনুসরণযোগ্য এবং অনুপ্রেরণার উৎস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
স্পিকার বলেন, কৃষি, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নারীর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। আবার অনেক নারী অবদান রাখা সত্ত্বেও কাজের স্বীকৃতি পাননি। এ সকল নারীর অবদান চিহ্নিত করতে হবে। এসময় তিনি নারীর গৌরবোজ্জ্বল অবদান তুলে ধরতে ইতিহাস গবেষকদের গবেষণা বৃদ্ধির আহবান জানান।
বাঙালি জাতির ইতিহাস-সংগ্রাম ও শোষিত হওয়ার ইতিহাস। আর বঙ্গবন্ধু জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ সকল ক্ষেত্রেই বাঙালির রয়েছে বিজয়গাথা-বীরত্বের ইতিহাস।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে জীবন্ত ইতিহাস, উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন, নারী জাগরণসহ জনকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে ইতিহাসের নব অধ্যায়ের সূচনা করেন তিনি।
বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন যা ইতিহাসেরই অংশ। বাঙালি জাতির অবস্থানকে বিশ্ব সভায় উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
এর আগে স্পিকার অতিথিদের নিয়ে ইতিহাস পরিষদের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।