সরকারের পদক্ষেপসমূহ ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে : প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ

598

সংসদ ভবন, ১২ জুন, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা কৃষকদের জন্য ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেছেন, সরকার ২৮ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চাহিদার অতিরিক্ত ধান উৎপাদন হওয়ায় কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য আমরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন। এ সময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চালের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকার ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই চাল ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য চালের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করেছি। উদ্বৃত্ত চাল রপ্তানি করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছি। আশা করছি, আমাদের এই সকল কার্যক্রম কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা ১৯ লাখ মেট্রিক টন পর্যন্ত খাদ্য মজুদ রাখতে পারি, সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। ২৮ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য যেন আমাদের মজুদ থাকে সেই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আপদকালিন খাদ্য মজুদের জন্য একের পর এক অত্যাধুনিক সাইলো (খাদ্য গুদাম) নির্মাণ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি অত্যাধুনিক সাইলো, যার একটি সান্তাহারে এবং অপরটি মোংলাতে নির্মাণ করা হয়েছে।’
পাশাপাশি সরকার কৃষকদের মাঝে বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক কনটেইনার সরবরাহ করছে দুর্যোগে খাদ্য মজুদ করে রাখার জন্য।
এ সময় ’৯৬ থেকে ২০০১ সালের আওয়ামী শাসনকে স্বর্ণযুগ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা সে সময় দেশ প্রথমবারের মত খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে উল্লেখ করে পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকার দেশকে পুনরায় খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে বলে তাদের কঠোর সমালোচনাও করেন।