মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধানমন্ত্রী

982

ঢাকা, ৬ জুন, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ই জুনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আগামীকাল ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয়দফা দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে ৭ই জুনের শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “ইনশাআল্লাহ্, ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ। ”
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতা সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছি। গত সাড়ে ১০ বছরে আমরা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সম্প্রতি আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি।’
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ই জুন এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬-দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ই জুন নতুন মাত্রা পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে এদিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন।
আজকের এই দিনে তিনি ঐতিহাসিক ৭ই জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি শাসন-শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ খানের নেতৃত্বে লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা বিরোধী দলীয় এক জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করলে জাতির পিতা ১৯৬৬ সালের ৫ফেব্রুয়ারি সেখানে ঐতিহাসিক ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু ৬-দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার জনমানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৬-দফার প্রতি সমর্থন জানায়। ৬-দফা হয়ে উঠে দেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।
শেখ হাসিনা বলেন, ৬-দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার ৬-দফার রূপকার বঙ্গবন্ধুকে ৮ মে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬-দফার প্রতি বাঙালির অকুন্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। জাতির পিতার ২৩ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।