জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে নিরবচ্ছিন্ন ও সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার

356

ঢাকা, ১৪ জুন, ২০১৮ (বাসস) : ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ সমগ্র রাজধানীতে নিরবচ্ছিন্ন ও সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদের ঈদ জামাত ঘিরে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদে নিরাপত্তায় কোন ধরনের হুমকি নেই। সবকিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ জাতীয় ঈদগাহের ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে আমরা নিয়েছি কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।ঈদগাহের প্রতিটি জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। অন্তঃবেষ্টনী ও বহিঃবেষ্টনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত থাকবে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড ইউনিট। ঈদগাহে প্রবেশের পূর্বে প্রত্যেক মুসল্লিকে দুই দফা তল্লাশীর মাধ্যমে ঈদগাহে ঢুকতে দেয়া হবে। একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি বায়তুল মোকাররম মসজিদে।’ জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা ব্যতীত কোন কিছু সঙ্গে আনতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন ঈদগাহে প্রবেশের সময় কয়েকটি পয়েন্টে মুসল্লিদের তল্লাশি করা হবে। কেউ কোনো ধরনের ব্যাগ, ছুরি-কাচি, মোবাইল ফোন, দাহ্য পদার্থ নিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র জায়নামাজ এবং বৃষ্টি থাকলে ছাতা ছাড়া অন্য কোনকিছু কেউ বহন করতে পারবেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তল্লাশির সময় পুলিশ সদস্যরা মুসল্লিদের সঙ্গে আনা জায়নামাজ বা ছাতা খুলে দেখতে চাইলে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
জাতীয় ঈদগাহের পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চতুর্দিকে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা বেস্টনি গড়ে তোলা হবে। জামাতে আসার সময় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাসির পর মুসল্লিদের আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মূলগেট দিয়ে প্রবেশের সময় তাদের আবারো তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
ঈদে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়বেন। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় অফিস, শপিংমলগুলোতে বাড়তি নজরদারি থাকবে। প্রত্যেক এলাকার চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো হবে এবং এলাকাভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ডদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে।
এবার রমজানে উৎসবমূখর ও নিরাপদ পরিবেশে নগরবাসী শপিংমলগুলোতে গভীররাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছেন উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।’