বিএনপি-জামাতের পেট্রোল বোমায় পোড়া মানুষ ও পরিবহনের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার : তথ্যমন্ত্রী

622

চট্টগ্রাম, ১ জুন, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি-জামাত মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করেছে। তাদের পেট্রোল বোমায় পোড়া মানুষ ও পরিবহনের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।’
তিনি আজ শনিবার চট্টগ্রামের তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু’তে আয়োজিত বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহণ মালিক ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংস্থার সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
বিএনপি-জামাত পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের রাজনীতি করে’ উল্লে¬খ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে পেট্রোল বোমা দিয়ে ঘুমন্ত চালকদের হত্যা করেছে বিএনপি-জামাত, শত শত গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তখন তারা যত গাড়ির চালককে পেট্রোল বোমায় হত্যা করেছিল সবাইকে ১০ লাখ টাকা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সহায়তা করা হয়েছে। যারা আহত হয়েছিলেন এবং যাদের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল তাদেরকেও সহায়তা দেয়া হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। সমাজ ও দেশের উন্নয়নের জন্য। কিন্তু বিএনপি-জামাত পেট্রোল বোমার মারার রাজনীতি করে। এজন্য জনগন তাদেরকে প্রত্যাখান করছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়নের ধারা চলমান রয়েছে, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহণ অতি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে পণ্য বন্দর থেকে সারাদেশে পৌঁছে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গত দশ বছরে সড়ক নেটওয়ার্কের ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরের সাথে সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি দেশের লাইফ-লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুটি সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ছাড়া কিছু মহাসড়কের কাজ এখনো চলমান। ফলে পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যে ঝামেলা ছিল সেগুলো অনেকটা দূর হয়েছে। ‘পায়রা ও মোংলা বন্দরকে ঘিরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ওই অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প নিয়েছে সরকার।
মালিক ফেডারেশনের দাবির প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি নয়, চট্টগ্রামে দুটি পরিবহন টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে এর কাজ শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন, চট্টগ্রামের রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং চট্টগ্রাম জেলার স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম প্রমুখ ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।