বাজিস-৭ : ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে স্বস্তিতে ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ

308

বাজিস-৭
টাঙ্গাইল- মহাসড়ক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে স্বস্তিতে ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ
টাঙ্গাইল, ১ জুন, ২০১৯ (বাসস) : দেশের অন্যতম ব্যস্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল- বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রায় ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। রাজধানী ঢাকার সাথে সড়কপথে উত্তরাঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ মাধ্যম এই মহাসড়কটিতে প্রতিবছর ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষ আর যানবাহনের ভিড়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। ভোগান্তিতে পড়েন গাড়ির চালক আর যাত্রীরা।
তাই এই মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকে বেশি। প্রতিদিন এই মহাসড়কে গড়ে প্রায় ৭-৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে। আর ঈদের সময় ঘরমুখো যাত্রীদের চাপে যানবাহনের সেই সংখ্যা ৫ থেকে ৬ গুণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ বছর চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। যানজটমুক্ত পরিবেশে বাড়ি ফিরছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
জানা যায়, ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে আজ শনিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে যানজট না থাকায় স্বস্তিতে ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। ব্যস্ততম এই মহাসড়কে মানুষ কোন ভোগান্তি ছাড়াই যাতায়াত করতে পারছেন।
এই মহাসড়কে টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটার যানজট নিরসনে পুলিশের সাড়ে ৭শ’ সদস্য কাজ করছেন। মহাসড়কে যানজট নিরসনে জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছেন। মাঝে-মধ্যেই গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, এতে চাপ সৃষ্টি হলেও কিছুক্ষণ পরেই মহাসড়ক ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বলছে, শুক্রবারের চেয়ে শনিবার মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কোথাও কোন যানজটের সৃষ্টি হয়নি। মহাসড়কে অনেক সময় ফাঁকা থাকছে।
জানা যায়, ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতার কারণে মহাসড়কে এখন পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
মহাসড়কে বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও শ্রমিকরা বলেন, মহাসড়কে এখনও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। তবে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চাপ সৃষ্টি হলেও কিছুক্ষণ পরেই মহাসড়ক আবার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা বলেন, তেমন কোন যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে না। গতবছর ঈদের সময় মহাসড়ক ফাঁকা পেয়েছি। এ বছরও সেরকমই যানজটমুক্ত সড়কে বাড়ি যাচ্ছি।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মুনির বলেন, ‘ঈদযাত্রায় এবার বঙ্গবন্ধু সেতুতে একটি বুথ বেশি করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মহাসড়ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ২৫ হাজার ১৮৬টি যানবাহন চলাচল করেছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে উত্তরবঙ্গের দিকে যায় ১৩ হাজার ৮৪০টি ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা দিকে যায় ১১ হাজার ৩৪৬টি যানবাহন। শুক্রবারের চেয়ে ৬ হাজার বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যদি সিরাজগঞ্জের অংশে কোন সমস্যা এবং মহাসড়কে বড় কোন ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটে আশা করছি তাহলে নির্বিঘেœ ঈদে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি যেতে পারবে।’
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আহাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদযাত্রায় এই মহাসড়কে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। মহাসড়কে সাড়ে ৭শ’ পুলিশ কাজ করছেন। যানজট নিরসনে ৫টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়া হুন্ডা মোবাইল ৩৫টি, ২টি ওয়াচ টাওয়ার, নিয়ন্ত্রনকক্ষ, বাঁশকল এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে।
পুলিশ ৩ শিফটে ২৪ ঘণ্টাই কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করছি অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবে।’
বাসস/সংবাদদাতা/২০২৫/এমকে