ঢাকা, ৬ মে, ২০১৯ (বাসস) : লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় ফণী-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্মিলিতভাবে গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে গৃহীত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঘূর্ণিঝড় ফণী সফলভাবে মোকাবেলা করায় সকলকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় তাঁর মন্ত্রণালয় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। তিনি জানান, এরূপ দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য সারাদেশে আরও ৭ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব সভায় অবহিত করেন, যেসব জেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত করেনি সে সব জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আক্রান্ত জেলায় নিযুক্ত করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাসমূহের বিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের লাইন জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হয়েছে। বর্তমানে সকল জেলায় বিদ্যুৎ সচল রয়েছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সভায় অবহিত করেন যে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ হাজার ৬৬৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ‘ঘূর্ণিঝড় ফণী’ জনিত কারণে ২৪৩টি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২টি বাঁধে বড় ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়। অবশিষ্ট ২৪১টি বাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। মুখ্য সচিব দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের নির্দেশ দেন।
কৃষি সচিব সভায় জানান যে, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় জেলাসমূহে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সম্ভাব্য কার্যক্রম প্রণয়নে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।
আগামীকাল ৭ মে, সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূণিঝড় ফণী পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পর্কে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ এতে উপস্থিত থাকবেন। এ সভায় ভবিষ্যতে যে কোন ধরনের বড় দুর্যোগ মোকাবেলায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে।