বাসস দেশ-৩০ : ফণীর প্রভাবে চট্রগ্রামে উপড়ে পড়া গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হয়েছে

328

বাসস দেশ-৩০
ঘূণিঝড়-ফণী
ফণীর প্রভাবে চট্রগ্রামে উপড়ে পড়া গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হয়েছে
চট্টগ্রাম, ৪ মে, ২০১৯ (বাসস) : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নগরের বিভিন্ন সড়কে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিস ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্ধার টিম আজ বিকেলের মধ্যেই এসব সরিয়ে ফেলেছে। সকাল থেকে চট্টগ্রামে ঝড়ো হাওয়াসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়েছে। বিকেলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকেছে সাগরের পানি।
সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দমকা হাওয়ায় উপড়ে পড়ে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। সকাল ১১টা থেকে চমেক হাসপাতালে প্রায় দেড় ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। তখন জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এছাড়া ঝড়ো হাওয়ায় নগরের আসকার দিঘীর পাড় এলাকার লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তার উপর। রাস্তার পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙে পড়েছে। এতে একটি প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বলেন, আসকার দিঘীর পাড়, চন্দনপুরা, কোতোয়ালী থানার সামনে এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়েছে। এসব এলাকায় সিটি করপোরেশনের টিম গিয়ে দ্রুত গাছ গুলো সরিয়ে ফেলেছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে কয়েকটি জায়গায় গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের নির্মাণাধীন বাঁধ ভেঙ্গে আকমল আলী রোড এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে জেলার আনোয়ারা উপজেলার গহিরা, সীতাকু-ের ছলিমপুর ও সন্দ্বীপের সারিকাইতসহ কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত এবং মিরসরাই উপজেলায় তিনটি কাঁচাঘর ধ্বসে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলেও কয়েকটি এলাকা থেকে গাছ উপড়ে পড়ার তথ্য পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, নগরীর চন্দনপুরা ফায়ার সার্ভিসের সামনে একটি গাছ উপড়ে পড়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের টিম গাছটি সরিয়ে ফেলেছে। এদিকে বৃষ্টি শুরুর পর পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরাতে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, বাটালি পাহাড়ে বসবাসকারী ১০০ পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি ১৬টি মিটার জব্দ করা হয়েছে।
বাসস/জিই/এসকেবি/কেসি/-১৮৫০/-কেএমকে