ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ মোকাবেলায় ভোলায় ব্যাপক প্রস্তুতি

384

ভোলা, ২ মে, ২০১৯ (বাসস) : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ মোকাবেলায় ভোলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র আজ সকালে বাসস’কে জানিয়েছে, চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে মাইকিং চলছে। খোলা হয়েছে ৭টি কন্ট্রোল রুম, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৮৩ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৫৭টি সাইক্লোন শেল্টার। জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
একইসাথে জেলা ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচি’র পক্ষ থেকে ১০ হাজার ২শ’ স্বেচ্ছাসেবক এবং রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ৫ শতাধিক ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক বাসস’কে জানান, ফণি মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত থাকায় মাছ ধরার ট্রলার ও নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলার ৬৫৭টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার সরবরাহের জন্য সেচ্ছাসেবকদের তৈরি রাখা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে মাঠপর্যায়ে কাজ করতে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’মোকাবেলায় এরইমধ্যে জেলার সঙ্গে দূরবর্তী চরগুলোর সংযোগকারী নৌপথে সব ধরনের অনিরাপদ লঞ্চ ও ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্গম এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রসহ নিরাপদে স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপ-পরিচালক মো: শাহাবুদ্দিন মিয়া বাসস’কে বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিবি’র ১০ হাজার ২শ’ সেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছে। চরাঞ্চলে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে মাইকিং চলছে। একই সাথে বিপদের চিহ্ন হিসাবে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সাইক্লোন সেল্টারে নিয়ে আসতে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে বলে জানান তিনি। রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, ফণি মোকাবেলায় রেডক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের ৫ শতাধিক ভলান্টিয়ার মাঠে রয়েছে। বিপদের সময় চিড়া-গুড় ইত্যাদী খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য। এছাড়াও চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে আমাদের প্রচারণা চলছে।
বাসস/এইচএএম/এমএন/১২১৫/এমএবি