বাসস দেশ-৪ : শ্রমিকের আট ঘন্টা কাজ বিশ্রাম ও ছুটি নিশ্চিত করার দাবি বিলস’র

166

বাসস দেশ-৪
মে-দিবস-বিলস
শ্রমিকের আট ঘন্টা কাজ বিশ্রাম ও ছুটি নিশ্চিত করার দাবি বিলস’র
ঢাকা, ১ মে, ২০১৯ (বাসস) : শ্রমিকের জন্য আট ঘন্টা কাজ, বিশ্রাম ও ছুটি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস।
মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ বিলস’র উদ্যোগে রাজধানীর পল্টন মোড়ে গৃহশ্রমিক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হও’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গৃহশ্রমিকদের এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া বিলস এবং কেয়ার বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে সকাল ১০টায় পল্টন মোড়ে গৃহশ্রমিকদের মানববন্ধন এবং র‌্যালির আয়োজন করা হয়।
পাশাপাশি বিলস এফএনভি প্রকল্পের নারায়ণগঞ্জ ক্লাস্টারের উদ্যোগে নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়ের দাবীতে মানববন্ধন ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া বিলস’র উদ্যোগে মুক্তাঙ্গনে একটি অস্থায়ী তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। তথ্য কেন্দ্র থেকে শ্রমিক অধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকাশনা বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে মানিকগঞ্জের জয়রা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিলস এর উদ্যোগে অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে র‌্যালির আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিলস এফএনভি প্রকল্পের সাভার ক্লাস্টারের উদ্যোগে সাভার বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন এবং র‌্যালির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিসমূহে বিলস’র উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মেসবাহউদ্দীন আহমেদ, শাহ মো. আবু জাফর, নইমুল আহসান জুয়েল, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাকিল আক্তার চৌধুরী, পুলক রঞ্জন ধর ও আব্দুল ওয়াহেদ, গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা আবুল হোসাইন, বাংলাদেশ মেটাল, কেমিক্যাল, গার্মেন্টস ও দর্জি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শহীদুল্লাহ বাদল, বিলস’র কর্মসূচি পরিচালক কোহিনুর মাহমুদ ও নাজমা ইয়াসমিন সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগঠিত দুই শতাধিক গৃহশ্রমিকসহ বিলস ও এর নেটওয়ার্কভুক্ত জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, গবেষক ও সংবাদকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গৃহশ্রমিক সমাবেশে বক্তারা ‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণ সর্বোপরি তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, নির্যাতন-সহিংসতা বন্ধ এবং ন্যায্য মজুরি, ক্ষতিপূরণ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি’কে আইনে পরিণত করার দাবি জানান।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৪৩০/-কেকে