বাজিস-১৬ : উপকূলীয় পোল্ডার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

344

বাজিস-১৬
খুলনা-উপকূল-কর্মশালা
উপকূলীয় পোল্ডার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
খুলনা, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, দেশের অন্য এলাকা হতে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রকৃতি ভিন্ন হওয়ার উপকূলীয় এলাকার জন্য বিদ্যমান সমস্যার সমাধানও ভিন্ন হবে।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও পরিবেশগত অবক্ষয় বিবেচনায় নিয়ে উপকূলীয় পোল্ডার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে সরকার।’
আজ শনিবার দুপুরে খুলনার হোটেল সিটি ইন-এ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ‘উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প, ফেজ-১’ এর ‘বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার দীর্ঘমেয়াদী পর্যাবেক্ষণ, গবেষণা এবং বিশ্লেষণ’ শীর্ষক সমীক্ষার ওপর আঞ্চলিক মতবিনিময় কর্মশালার প্রধান অতিথি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলকে প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে সম্পদশালী বিবেচনা করা হয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ঝুঁকি বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।
তিনি বলেন, ‘নদী ভাঙনের তাৎক্ষণিক সমাধান নয় বরং স্থায়ী সমাধানের কথা ভাবছে সরকার। ক্ষুদ্র প্রকল্পের পরিবর্তে বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমে নদী শাসন করে অবস্থার পরিবর্তন আনা সম্ভব।’ বন্যা ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষায় সময়মতো পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সুনামগঞ্জকে এ মৌসুমে আগাম বন্যা হতে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের ভাবনাকে উন্নয়ন কাজের সময় গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ‘উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প, ফেজ-১’-এর প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের উপকূলীয় এলাকার ১৩৯টি পোল্ডারকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে টেকসই ব্যবস্থাপনার আওতায় আনলে এ অঞ্চলে বসবাসকারী দেশের ২৬ শতাংশ বা তিনকোটি ৮০ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় জনগণ, পেশাজীবী এবং বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে পোল্ডারসমূহের সমস্যা, উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং নকশা বিষয়ে কারিগরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাসস/জেডএইচ/২০৩২/এমকে