যত দ্রুত স্ট্রোকের চিকিৎসা শুরু ততই রোগীর জন্য মঙ্গল

1205

ঢাকা, ১০ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : স্ট্রোক মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এবং বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্ক অক্ষমতা সবচেয়ে সাধারণ কারণ। উন্নয়নশীল বিশ্বেও স্ট্রোকের ঘটনা বাড়ছে। এটি এমন একটি মেডিক্যাল জরুরি অবস্থা যেখানে প্রতি মিনিটে ২ মিলিয়ন মস্তিষ্কের কোষ মারা যায়। কাজেই, যত দ্রুত স্ট্রোকের চিকিৎসা শুরু করা যায় রোগীর জন্য ততই মঙ্গল।
সম্প্রতি ঢাকার ইমúাল্স হাসপাতাল আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব তথ্য উঠে আসে।
সভায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বেগম কামরুন নাহার, স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর উপাচার্ষ অধ্যাপক কনক কান্তি বড়–য়া, বিএসএমএমইউ-এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনিসুল হক, সোসাইটি অফ নিউরোলজিস্ট বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ কুরাইশি ও মহাসচিব আবু নাসির রিজভী, চ্যানেল আই-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরিদুর রেজা সাগর, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ- মহাপরিচালক (প্রোগ্রাম) সুরত কুমার সরকার, বাংলাদেশ পোস্টের প্রধান সম্পাদক শরীফ শাহাবুদ্দিন, ইমপাল্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ জাহের আল-আমিন ও সিইও ডাঃ দবির উদ্দিন আহমেদ, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নাসির শাহরিয়ার জায়েদী, আইসিটি বিভাগের কমিউনিকেশন স্পেশালিষ্ট অজিত কুমার সরকার, মিলভিক ইন পার্টনারশীপ উইথ রবি আজিয়াটার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. আনোয়ারুল মামুন, ইমপাল্স হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (হেড,নিউরোলজিস্ট অ্যান্ড স্ট্রোক), বাংলাদেশ পোস্টের উপদেষ্টা সম্পাদক শাহনুর ওয়াহিদ ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টও গোলাম শাহানী প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
বিএসএমএমইউ-এর সহযোগী অধ্যাপক ও ইমপাল্স হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মো শহীদুল্লাহ সবুজ এবং ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ আফতাব হালীম মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
স্ট্রোকের জরুরি ও সময়মত চিকিৎসার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সবুজ তার প্রবন্ধে বলেন, স্ট্রোকের পর প্রতি মিনিটের মস্তিস্কের প্রায় ১.৯ মিলিয়ন নিউরোন মারা যায়। এর চিকিৎসায় স্ট্রোক ব্যবস্থাপনা বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, কার্যকর চিকিৎসার দু’টি বিকল্প আছে – মেডিকেল থেরাপি এবং রিভাসকুলারাইজেশন ও জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
তিনি বলেন, রোগীর শিক্ষার অভাব, হাসপাতালে পৌঁছাতে বিলম্ব, স্ট্রোকের উপসর্গগুলো বুঝতে বিলম্ব হওয়ায় আরো এটি জটিল হয়ে ওঠে।