বাসস রাষ্ট্রপতি-২ : নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

285

বাসস রাষ্ট্রপতি-২
আবদুল হামিদ-বাণী
নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার, মালিক, শ্রমিকসহ উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখেই সরকার দেশের সকল শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আগামীকাল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানিয়ে তিনি শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ গড়ে তুলতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উদযাপন একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর তৎকালীন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সকল কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। বঙ্গবন্ধুর এ সিদ্ধান্তের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কলকারখানাগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রতিটি শ্রমিকের আইনগত অধিকার।
‘আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য আজ বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। শিল্প-কারখানা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রপ্তানি বাণিজ্যের বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি আরো সম্প্রসারণে শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতসহ উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকমান বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।’
আবদুল হামিদ এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে জাতীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চতুর্থবারের মতো ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ কর্মপরিবেশ, টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৯৪৮/অমি