সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবদান রাখার আহবান রাষ্টপতির

664

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সমাজে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সকলে অবদান রাখার আহবান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
‘আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারকে অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। অসচ্ছলতা, অজ্ঞতা ও নানাবিধ আর্থ-সামাজিক প্রতিকূলতার কারণে দেশের গরিব-দুঃখী ও সহায় সম্বলহীন জনগণ অনেক ক্ষেত্রে আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। সংবিধানে বর্ণিত ‘আইনের সমান আশ্রয়লাভ’ এর অধিকারকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইনকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করার মাধ্যমে সমাজের হতদরিদ্র ও অসচ্ছল জনগোষ্ঠী বর্তমানে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা পাচ্ছে। সরকারের এ আইনগত সহায়তা কার্যক্রমে সকলের অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আবদুল হামিদ বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিচারক, আইনজীবী, এনজিও কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগের ওপর নির্ভর করছে আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সফলতা। তিনি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস – ২০১৯’ পালন সাফল্য কামনা করেন।