বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে : রাষ্ট্রপতি

572

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
রাষ্ট্রপতি-শেরে বাংলা-বাণী
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আগামিকাল ২৭ এপ্রিল শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বরেণ্য রাজনীতিবিদ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে এই মহান নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বাণীতে তিনি মহান নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্য সাধারণ প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধার অধিকারী। নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও নবাব নওয়াব আলী চৌধুরীর কাছে রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য, সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি (১৯১৬-১৯২১), কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-১৯৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধাবী ও বাগ্মী। তিনি একাধারে বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় অনর্গল বক্তৃতা করতে পারতেন। দক্ষ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হিসেবে প্রায় অর্ধ-শতাব্দীর অধিককাল তিনি গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি কৃষক ও শ্রমিকদের স্বার্থে ১৯৩৬ সালে কৃষক প্রজা পার্টি (কেপিপি) এবং ১৯৫৩ সালে শ্রমিক-কৃষক দল প্রতিষ্ঠা করেন। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শেরে বাংলা এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
তিনি বলেন, বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত কৃষক সমাজকে ঋণের বেড়াজাল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে তাঁর উদ্যোগে গঠিত ‘ঋণ সালিশী বোর্ড’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বঙ্গীয় চাকুরি নিয়োগবিধি, প্রজাস্বত্ব আইন, মহাজনী আইন, দোকান কর্মচারী আইন প্রণয়নের ফলে এ অঞ্চলের অবহেলিত কৃষক-শ্রমিক উপকৃত হন। এই বরেণ্য রাজনীতিবিদ ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। কৃষক-শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
বাসস/তবি/এমএন/২১১০/-কেজিএ