বাসস দেশ-৩৪
হাইকোর্ট-আদেশ
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ: হাইকোর্ট
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস): যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসককে সার্কুলার জারি করতেও বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আজ এ আদেশ দেয়।
যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), জনপ্রশাসন সচিব ও দেশের সব জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’সহ দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গতকাল বুধবার হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন সায়েদুল হক সুমন।
রিটকারী আইনজীবী সুমন সাংবাদিকদের বলেন, “আজকের এই আদেশের পরে কার্যত প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বাংলাদেশে আর হতে পারে না, হবে না।” তিনি বলেন, যে অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের খাওয়ার কথা সে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হচ্ছে পোল্ট্রিকে। যে কারণে এগুলো ইনডাইরেক্টলি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, গত বছর বিএসএমইউতে ৯০০ জন আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে মারা গেছেন ৪০০ জন। এখন, সিভিল সার্জন ও ডিসি সাহেবরা কার্যকর ব্যবস্থা যদি নেন, তাহলে পরবর্তী জেনারেশনকে বাঁচানো যাবে।
গত ২২ এপ্রিল দ্য টেলিগ্রাফ ‘সুপারবাগস লিঙ্কড টু এইট আউট অব টেন ডেথস ইন বাংলাদেশ আইসিইউ’স’ অর্থাৎ ‘বাংলাদেশের আইসিইউতে ১০ মৃত্যুর মধ্যে ৮টি মৃত্যুর জন্যই দায়ী সুপারবাগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ৮০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সুপারবাগ দায়ী।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে এই অবস্থা বেশি দেখা যায়। কারণ এসব দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পরামর্শ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় না। আবার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজ থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক নেয়া এবং দোকান থেকে অবৈধভাবে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে রোগী ব্যবহার করে। আবার মানুষের ব্যবহৃত ওষুধ বেশি লাভের জন্য পশুর ওজন বাড়াতেও প্রয়োগ করা হয়।
বাসস/এএসজি/ডিএ/২০৪৫/কেএমকে
Home 0সকল সংবাদ বাসস দেশ বাসস দেশ-৩৪ : চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ: হাইকোর্ট