বাসস দেশ-৩২ : মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান মোমেনের

287

বাসস দেশ-৩২
রোহিঙ্গা-জাতিসংঘ-মোমেন
মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান মোমেনের
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে জাতিসংঘ ও নেপিদোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে এমন দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের তিন সংস্থা প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তাদের এ সংকট নিরসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আরো সম্পৃক্ততা বাড়াতে বলেছি। আমরা এখানে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করছি।’
মোমেন বলেন, মিয়ানমারই এ সংকটের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ এর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে উত্তর রাখাইন রাজ্যের ভেতর সুন্দর অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছে।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক অ্যান্টনিও ভিটোরিনো এবং জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শনে যাবার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থার ব্যাপারে কিছু সাহায়্য সংস্থার আপত্তি প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।
মোমেন বলেন, তবে বর্তমানে রোহিঙ্গারা যেখানে আছে, সেখানে তাদের প্রাণহানি হলে এর দায় যারা তাদের ভাসানচরে পাঠানোর ব্যাপারে আপত্তি করছেন তাদের নিতে হবে।
এর আগে কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাপ কমাতে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর দ্বীপে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছে।
জাতিসংঘের এ তিন শীর্ষ কর্মকর্থা এর আগে গতকাল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনিও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ভেতরে একটি নিরাপদ এলাকা সৃষ্টির ওপর জোর দেন।
শাহরিয়ার রোহিঙ্গাদের তাদের নিজবাসভূমিতে ফিরে যাবার আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করতে না পারার জন্য মিয়ানমারের ব্যর্থতার জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাসস/টিএ/অনুবাদ-এইচএন/২০৪০/আরজি