বাসস দেশ-৪২ : সিলেটে ‘বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট বর্ডার মার্কেট ফিজিবিলিটি স্টাডি কমিটি’র বৈঠক

591

বাসস দেশ-৪২
ভারত-বাংলাদেশ-বর্ডার-মার্কেট
সিলেটে ‘বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট বর্ডার মার্কেট ফিজিবিলিটি স্টাডি কমিটি’র বৈঠক
সিলেট, ২৪ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট বর্ডার মার্কেট ফিজিবিলিটি স্টাডি কমিটির বৈঠক সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় এ বৈঠক শেষ হয়।
বৈঠকে ১৭ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম। অপরদিকে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির বাণিজ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বৈদেশিক বাণিজ্য, দক্ষিণ এশিয়া) ভূপিন্দর এস ভাল্লা। বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ পর্যালোচনার পাশাপাশি বিদ্যমান বর্ডার হাটের অবস্থা ও নতুন ৬টি বর্ডার হাটের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া বৈঠকে বর্ডার হাট গাইড লাইন প্রস্তুত করা হয়। এই গাইড লাইনের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক এবং মোড অব অপারেশন সবাই বুঝতে পারবেন।
তিনি জানান, বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে চারটি বর্ডার হাট চালু রয়েছে। সীমান্ত এলাকার লোকজনের ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে আরো ৬টি বর্ডার হাট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দকে তামাবিল স্থলবন্দরে বাংলাদেশে স্বাগত জানানো হয়। মঙ্গলবার তারা নির্মাণাধীন ভোলাগঞ্জ সীমান্ত হাট পরিদর্শন করেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আগামী ২৫ এপ্রিল তাদের দেশে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উল্যাহ খান।
বৈঠকে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এএইচএম আহসান, এএইচএম শফিকুজ্জামান ও নুর মো. মাহবুবুল হকসহ সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোল্লা মিজানুর রহমান, মো. সেলিম হোসেন প্রমুখ।
ভারতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক হিতেশ রাজপাল, ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি (বাণিজ্য) শিশির কোঠারি, দেশটির আসাম অঙ্গরাজ্যের উপসচিব সাজ্জাদ আলম, মেঘালয় অঙ্গরাজ্যের উপপরিচালক উইনফ্রেড ওয়ারশং প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে ২৩ অক্টোবর ভারত সফরকালে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত জনগণের সুবিধার জন্য পাইলট ভিত্তিতে সীমান্ত হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। একই বছরের ২৩ অক্টোবর দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত হাট সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়। ওই চুক্তিতে পাইলটভিত্তিতে দুটি সীমান্ত হাট স্থাপনের কথা থাকলেও এরপর দুই দেশের সরকারের সম্মতিতে এ পর্যন্ত চারটি বর্ডার হাট স্থাপন হয়েছে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর একটি হোটেলে দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে নতুন ৬টি সীমান্ত হাট চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএমবি/২৩২০/বেউ/-এবিএইচ