বাসস দেশ-২৭ : নুসরাতের শরীরে আগুন দেয়ার সময় ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার

292

বাসস দেশ-২৭
নুসরাত-হত্যা-বোরকা
নুসরাতের শরীরে আগুন দেয়ার সময় ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দেয়ার সময় ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই’র ফেনী সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো. মনিরুজ্জামান বাসসকে জানান, আসামি জোবায়ের এই বোরকা পড়েই নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার আসামি জোবায়েরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে তাকে সাথে নিয়ে বোরকাটি উদ্ধার করা হয়।’
শনিবার সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অদূরে কাশমির বাজার সংলগ্ন দাঙ্গি খাল থেকে এটি উদ্ধার করে পিবিআই।
আসামির পরিহিত বোরকাটি এ হত্যা মামলার অন্যতম আলামত। উদ্ধার হওয়ায় এটি মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি জানান।
এর আগে হত্যা মামলায় গ্রেফতার নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে জানা যায়, বোরকা পরে পাঁচজন এ হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছিল। এই বোরকা তার একটি। শুক্রবার আসামী কামরুন নাহার মনিকে নিয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ভবনের ছাদ ও বোরকার দোকান পরিদর্শন করা হয়।
নুসরাত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলো। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নুসরাতের মা বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।
এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিলো।
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় কৌশলে তাকে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যায়।
ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত আটজন গ্রেফতারসহ মোট ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে চারজন। ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেয়া হয়েছে। এ মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকেও আটকের পর আজ শনিবার আদালতে হাজির করেছে পিবিআই।
বাসস/এমএমবি/২০০১/-এইচএন