বাসস দেশ-৩৫ : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

285

বাসস দেশ-৩৫
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী-সভা
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণে সরকার নানামূখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ১৯তম বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হলো ধর্ম নিরপেক্ষতা। সরকার সংবিধানের মূলনীতি অনুসরণ করে সকল ধর্মের অনুসারীদের কল্যাণে সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এর মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়নে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য সম্প্রদায়ের ন্যায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সভায় খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের এনডাউমেন্ট তহবিল ৫ কোটি টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার একটি প্রাস্তাব সরকারের নিকট উপস্থাপনের সিদ্দান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়াও ট্রাস্টের নিজস্ব তহবিল থেকে ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান থেকে ৪২ লক্ষ টাকা সারা দেশের ১৬৩টি গীর্জা, খ্রিস্টান কবরস্থান এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় উৎসব পালনে বিতরণ করা হবে।
এছাড়াও সভায় খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন আইন অনুসরণ করে নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ সময়ে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আরেং এমপি, ট্রাস্টি ড. বেনেডিক্ট আলো ডি রোজারিও, হিউবার্ট গমেজ, জেমস সুব্রত হাজরা, উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, ট্রাস্টি ও সচিব নির্মল রোজারিও উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ আমন্ত্রণে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান সভায় অংশগ্রহণ করেন।
বাসস/সবি/বিকেডি/১৯৫০/কেজিএ