বাসস দেশ-২৬ : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ২৪ এপ্রিল

211

বাসস দেশ-২৬
খালেদা-মামলা
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ২৪ এপ্রিল
ঢাকা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯ (বাসস) : বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার দুটি পৃথক মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন আগামী ২৪ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানির তারিখ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। পরে বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত আদালতের বিচারক ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নূর সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এদিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মামলায় বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
অন্যদিকে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট লেখা হয়। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/এফ এইচ/১৮৪৫/-কেএমকে