ঈদের আগে ট্রেনের টিকিট রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রি করা হবে : রেলপথমন্ত্রী

344

ঢাকা, ৫ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ট্রেনের টিকিট বিক্রির জন্য চলতি মাসে নতুন অ্যাপ চালু করা হবে।
আজ শুক্রবার সকাল ১১ টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে এক ব্রিফিংয়ে রেলপথমন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী রফিকুল আলম, মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কমলাপুর রেলস্টেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের টিকিট পেতে ভোগান্তি বন্ধ ও টিকিট কালোবাজারি রোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় কমলাপুর স্টেশনে টিকিট কিনতে যাত্রীদের দীর্ঘলাইন থাকে। সে সময় স্টেশন একটা বাজারে রূপ নেয়। যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি কমাতে চলতি মাসে অ্যাপস চালু করা হবে। এর মাধ্যমে ঘরে বসেই সবাই টিকিট কিনতে পারবেন। তাছাড়া ঈদযাত্রার আগাম টিকিট বিক্রিতে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে শুধু কমলাপুর না, এর বাইরেও টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা আছে। সে সময় হয়তো আমরা টিএসসি, সায়েদাবাদ বা রেল ভবনসহ কয়েকটি স্থান বেঁছে নেব।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৭২টি ট্রেন চুক্তিভিত্তিক বেসরকারিভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই নতুন করে আর কোনো চুক্তি করা হবে না। রেলওয়ে থেকেই আমরা ওই ট্রেনগুলো পরিচালনা করবো।
তিনি আরও বলেন, কমলাপুর স্টেশনে বিনা টিকিটে প্রবেশসহ নানা অভিযোগ আছে। আমরা খুব শিগগির ছোট ছোট সব প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেব। একইসঙ্গে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণে জরিমানা অব্যাহত থাকবে।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, আগামী এক বছরে ট্রেনে সাড়ে ৫০০ বগি, ১০০টি ইঞ্জিন এবং ২৫০টি কোচ আসবে। তাছাড়া মিটারগেজ লাইন ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে। সবগুলো লাইন হবে ব্রডগেজ। সরকার চায় রেলওয়েকে আরো ঢেলে সাজাতে এবং জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যেতে। লোকবলের অভাবের অভিযোগ ছিল, সেটাও এখন দূর হওয়ার পথে।