বাসস ক্রীড়া-১১ : উত্তেজনাপূর্ণ হাই-স্কোরিং ম্যাচে মোহামেডানকে ২ উইকেটে হারালো শাইনপুকুর

256

বাসস ক্রীড়া-১১
ক্রিকেট-প্রিমিয়ার লিগ
উত্তেজনাপূর্ণ হাই-স্কোরিং ম্যাচে মোহামেডানকে ২ উইকেটে হারালো শাইনপুকুর
ঢাকা, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : আফিফ হোসেনের পর লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে নবম রাউন্ডে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবকে ২ উইকেটে হারালো শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। মোহামেডানের ছুড়ে দেয়া ৩২৫ রানের লক্ষ্যে ১১৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে শাইনপুকুর। এরপর আফিফের ৯৭ ও তিন লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ইনিংসে ২ বল বাকী থাকতে জয় তুলে নেয় শাইনপুকুর। এই জয়ে ৯ খেলায় ৪ জয় ও ৪ হারে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এলো শাইনপুকুর। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪ জয় ৫ হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থাকলো মোহামেডান।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে শাইনপুকুর। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শুরু পায় মোহামেডান। দুই ওপেনার লিটন দাস ও উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুর ২০ ওভারে ১০১ রানের জুটি গড়েন। নামের পাশে ৫০ রান রেখে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফিরেন শুক্কুর। তবে নিজের ইনিংসটি বড় করছিলেন লিটন। সেঞ্চুরির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু দলীয় ১৫৭ রানে থেমে যান লিটন। ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৯ বলে ৮৪ রান করেন তিনি।
দুই ওপেনারের পর মিডল-অর্ডারে অভিষেক মিত্র, রকিবুল হাসান ও সোহাগ গাজী দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন। মিত্র ৫৯ বলে ৫০ রানে থামলেও রকিবুল-সোহাগ খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৮ বলে রকিবুল ৭৪ ও সোহাগ ৩টি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে ৪৫ রান করেন। তাদের পর মোহামেডানের পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা শাইনপুকুরের পেসার দেলোয়ার হোসেনের তোপে পড়ে শুধু যাওয়া আসাই করেছেন। তাই ৩ বল আগেই ৩২৪ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডানের ইনিংস। দেলোয়ার ৪৬ রানে ৫ উইকেট নেন।
জবাবে জয়ের জন্য ৩২৫ রানের বিশাল টার্গেট পায় শাইনপুকুর। সেই লক্ষ্যে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ২১ ও সাব্বির রহমান ১৭ রান করে আউট হন। এরপর মিডল-অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলে ১১৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় শাইনপুকুর। তবে ব্যর্থ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ব্যাট হাতে উজ্জল ছিলেন ভারতের উন্মুখ চাঁদ। ৫১ বলে ৪৯ রান করে আউট হন তিনি।
পঞ্চম উইকেট পতনের পর জুটি বাঁধেন আফিফ ও অমিত। ষষ্ঠ উইকেটে অমিতকে নিয়ে ১১৮ রান যোগ করে শাইনপুকুরকে ম্যাচে ফেরান আফিফ। অমিত ৪৩ রান করে ফিরলে অধিনায়ক সোহরাওয়ার্দি শুভকে নিয়ে সামনে এগোতে থাকেন আফিফ। তবে দু’জনে বেশি দূর যেতে পারেননি। দলীয় ২৬১ রানে আউট হন আফিফ। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় গিয়ে থেমে যান তিনি। ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৮৬ বলে ৯৭ রান করেন আফিফ।
সর্বোচ্চ স্কোরার আফিফ ফিরলে দেলোয়ারকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৫৯ রান যোগ করে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান শুভ। জয় থেকে ৫ রান দূরে থাকতে আউট হন দেলোয়ার। ১৯ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৪ রান করে ম্যাচের লাগাম দলের দিকে নিয়ে আসেন দেলোয়ার। এরপর দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন শুভ ও দশ নম্বর ব্যাটসম্যান টিপু সুলতান। শুভ ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। টিপুর ব্যাট থেকে আসে ১ রান। ম্যাচ সেরা হন শাইনপুকুরের দেলোয়ার। ৫ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ১৯ বলে ৩৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৮৫০/স্বব