বাসস দেশ-২৭ : সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস থামার জন্য স্টপেজ ও যাত্রী ছাউনি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে : ডিএনসিসি মেয়র

292

বাসস দেশ-২৭
ডিএনসিসি মেয়র-বৈঠক
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস থামার জন্য স্টপেজ ও যাত্রী ছাউনি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে : ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস থামার জন্য নির্ধারিত স্টপেজ ও যাত্রী ছাউনি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও বাস থামতে পারবে না এবং কোন যাত্রীও উঠানো যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএনসিসি’র নগর ভবনে নিরাপদ সড়ক বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান, ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মীর রেজাউল আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নানামুখি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ডিএনসিসি। এর মধ্যে গাড়ী চালকদের ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া বাস ফ্রেঞ্চাইজের কাজ আগামি দুই বছরের আগেই সমাপ্ত হবে।
বৈঠকে যানবাহনের ফিটনেস স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও তিনি অনুরোধ জানান। তাছাড়া যানবাহন চালকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানে তিনি বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
শিগগিরই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ বাস মালিক সমিতির সাথে সভা করে চুক্তিভিত্তিক বাস চালানোর প্রথা বাতিল করা হবে বলে জানান তিনি ।
মেয়র শিক্ষার্থীদের সব দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, পর্যায়ক্রমে এসব যৌক্তিক দাবী বাস্তবায়ন করা হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা মালিবাগ থেকে কুড়িল বিশ্বরোডকে মডেল সড়ক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেছি। প্রতিটি জেব্রাক্রসিংয়ে পুশ বাটন ও ফ্লাশলাইট স্থাপন করা হবে। তাছাড়া সড়ক বিভাজনকে ফেন্সিং স্থাপন করা হচ্ছে যাতে কেউ যত্রতত্র রাস্তা পার হতে না পারে।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বৈঠকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবী তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল- ফুটওভারব্রিজ স্থাপন না করে জেব্রাক্রসিং স্থাপন করা, প্রতিটি জেব্রাক্রসিংয়ে সিসিটিভি স্থাপন করা, ২০২০ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্য বইয়ে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে একটি অধ্যায় অন্তর্ভূক্ত করা, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো, ডিজিটাল ট্রাফিক সিগনাল স্থাপন করা, ৬টি বাস কোম্পানির মাধ্যমে বাস ফ্রেঞ্চাইজের দ্রুত বাস্তবায়ন করা, পর্যাপ্ত ড্রাইভিং স্কুল স্থাপন করা, চুক্তিভিত্তিক বাস চালানো বন্ধ করা এবং লাইসেন্সবিহীন চালকদের দিয়ে বাস চালানো বাস মালিকদের বিচারের আওতায় আনা।
বাসস/সবি/এমএমবি/১৯২০/-এএএ