বাসস দেশ-২৬ : সারা পৃথিবীতে মিডিয়া অপরিহার্য : কৃষিমন্ত্রী

284

বাসস দেশ-২৬
কৃষিমন্ত্রী-সংলাপ
সারা পৃথিবীতে মিডিয়া অপরিহার্য : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারা পৃথিবীতে মিডিয়া অপরিহার্য। সংবাদ পরিবেশন ও সম্পচারের ক্ষেত্রেও যে কোন ধরনের মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিডিয়া বিধিবর্হিভূত অনেক কাজ এবং অর্জন তুলে ধরে। ড.আব্দুর রাজ্জাক আজ বুধবার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে ‘কৃষিভিত্তিক মিডিয়া সংলাপে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কৃষি তথ্য সার্ভিস এ সংলাপের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে কোন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নর জন্য মিডিয়া অপরিহার্য। কারণ মন্ত্রণালয়ে কি কাজ হচ্ছে তার গঠনমূলক সমালোচনা হলে সংশ্লিষ্টরা তা সুধরে আরো ভালোভাবে কাজ করতে পারে। শুধু এটুকুই নয়, বিদেশীরা এ দেশে বিনিয়োগ করতে পারবে কিনা, বিনিয়োগ করার মতো পরিবেশ আছে কিনা তা মিডিয়া তুলে ধরতে পারে এবং এ বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকাও পালন করতে পারে।
আগামী ৫বছরে কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করা হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সেসঙ্গে ‘আমরা নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তাও দিতে পারবো এবং আগামীতে কৃষির গুরুত্বও আরো বাড়বো।’
কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
ড. রাজ্জাক ভূর্তুকির বিষয়ে বলেন, সরকার যদি কৃষিতে ভর্তুকি না দিত তাহলে এত পরিমান খাদ্য উৎপাদন কখনই সম্ভব হতো না। স্বাধীনতার বছরে বাংলাদেশে খাদ্যে উৎপাদন ছিল ১০লাখ মেট্রিক টন। সেখানে বর্তমানে দেশে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৪কোটি ১৩লাখ মেট্রিক টন। এবার খাদ্য উৎপাদনের যে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে ১৩লাখ টন খাদ্য বেশী উৎপাদিত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিমা সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নানা কটুক্তি করেছিল। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সব আশংকাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন। মন্ত্রী বলেন,‘বর্তমানে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত আমরা এ কাজও করতে পারবো। তাদের আশংকা আমরা বার-বার মিথ্যা প্রমাণ করবো।’
কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রধান তথ্য অফিসার ড. মো. খালেদ কামাল। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. শামীম রেজা। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির (এপিএ) সদস্য মো. হামিদুর রহমান।
পরে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইনের সিনিয়র সাংবাদিকগণ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। তারা কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তথ্যের অভাবের কথা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন,কৃষি সম্পর্কিত রিপোর্ট করার সময় প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায় না। তথ্য চাইলে সংশ্লিষ্টরা অনেক সময় এড়িয়ে চলেন। এ ছাড়া তারা নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যের পুষ্টি মান, সমন্বিত কৃষি, কৃষির উন্নয়ন, কৃষি পণ্যে রপ্তানীসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন, সংস্থা প্রধান, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক, প্রযোজক ও রিপোর্টারসহ প্রায় ১২০ জন অংশগ্রহণ করে।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৮৪০/কেএমকে