সংবাদ শিরোনাম 
|
|
ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ (বাসস): দুই মাসের মধ্যে ৫ কোটি টাকা না দিলে নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. শওকত চৌধুরীর জামিন বাতিল হবে বলে আদেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহহার মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। মো. শওকত চৌধুরীর জামিন ও অর্থ জমা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে আজ আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, “আদালত দুই মাসের মধ্যে পাঁচ কাটি টাকা জমা দিতে বলেছে। তা না হলে জামিন বাতিল হবে।”
আদালতে শওকতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে এ বিষয়ে জারি করা রুল শুনানি শেষে গত ২২ অক্টোবর ৫০ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে জমা না দিলে জাতীয় পার্টির এমপি মো. শওকত চৌধুরীর জামিন বাতিল হবে বলে আদেশ দেয় একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ। এরপর হাইকোর্টের ওই আদেশ বিষয়ে আপিলে আবেদন করেছিলেন শওকত চৌধুরী।
২০১৬ সালের ৮ ও ১০ মে শওকত চৌধুরীসহ ব্যাংকটির নয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় আসামিরা হলেন- ব্যাংকটির ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বংশাল শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি, চাকরিচ্যুত অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার শিরিন নিজামী, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সফিকুল ইসলাম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইখতেখার হোসেন, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ বাউল, সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার ও বর্তমানে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আসজাদুর রহমান।
মামলায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ২০১৬ সালের ৮ মে ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৫ এবং ১০ মে ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে সংসদ সদস্য শওকতসহ ৯ জনের নামে অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ এর ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ৩৭টি এলসি খুলে মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল, মেসার্স এগ্রো কেমিকেল লিমিটেড ও উদয়ন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজসে তিনি এ ঋণ জালিয়াতি করেন। পরে যা সুদে আসলে শত কোটি টাকার ওপরে চলে যায়। এরপর শওকত চৌধুরী হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে নিম্ন আদালতও তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে এই মামলার অপর আসামিরা গত বছর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে। আবেদনে বলা হয়, প্রধান আসামি শওকত চৌধুরী জামিন পেয়েছেন। তাই তারাও জামিন পেতে পারেন। এরপর গত বছরের ২৪ নভেম্বর শওকতের জামিন বাতিলে রুল জারি করে হাইকোর্ট।