বাংলাদেশে মেশিনারিজ উৎপাদনে শিল্প-কারখানা স্থাপন ও বিনিয়োগে চীনা উদ্যোক্তাদের আগ্রহ প্রকাশ

297

ঢাকা, ২৫ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশে মেশিনারিজ উৎপাদনে শিল্প-কারখানা স্থাপন ও বিনিয়োগে চীনা উদ্যোক্তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আজ ডিসিসিআই’র সভাপতি ওসামা তাসীরের সাথে চীনের দি ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্স অফ ইউনান প্রভিন্স- এর বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ইউয়ান লিন-এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎকালে তারা এই আগ্রহের কথা জানান।
ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আলহাজ্ব দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, ইঞ্জিঃ মোঃ আল আমিন, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, শামস মাহমুদ এবং এস এম জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি ওসামা তাসীর মেশিনারিজ উৎপাদনে শিল্প-কারখানা স্থাপন ও বিনিয়োগে চীনের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, চীন ও আসিয়ান অঞ্চলের দেশসমূহরে সাথে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ “লুক ইস্ট” নীতিমালা গ্রহণ করেছে।
চীনের প্রতিনিধি দলের নেতা ইউয়ান লিন জানান, ২০১৮ সালে ইউনান প্রদেশের মোট আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রদেশটি শুধুমাত্র মেশিনারিজ পণ্য রপ্তানি করেছেন ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ইউনান প্রদেশে মেশিনারিজ উৎপাদনে চীনের অন্যান্য প্রদেশের মধ্যে চতুর্থ এবং চীনের উদ্যোক্তাবৃন্দ এ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে আগ্রহী। পাশাপাশি ইউনান প্রদেশ প্রচুর পরিমাণে কফি, তামাক, রাবার, ফুল প্রভৃতি উৎপাদন করে থাকে।
তিনি বাংলাদেশী উৎদ্যোক্তাদের এ ধরনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ইউনানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে বাংলাদেশ এবং ইউনান প্রদেশ বেশ কাছাকাছি অবস্থান করলেও তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আশানুরূপভাবে বৃদ্ধি পায়নি। এমতাবস্থায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রতিনিধি দলকে ওসামা তাসীর বলেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২.৪০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১১৭০৬ ও ৬৯৪.৯৭ মার্কিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়াবে। ইউনান প্রদেশ মেশিনারিজ উৎপাদনে অত্যন্ত দক্ষতার সাক্ষর রেখেছে এবং এ খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরো বেশি হারে বিনিয়োগ ও শিল্প-কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং ফুলচাষের বহুমুখীকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে ইউনানের সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, পর্যটন, ফুল চাষাবাদ, ঔষধ, যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা এবং সমুদ্র অর্থনীতি প্রভৃতি খাত সমূহ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং এখাত সমূহে চীন ও বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা যৌথ বিনিয়োগ করতে পারে।