বিএনপিও জামায়াতের মত দেশের রাজনীতি থেকে বিলীন হয়ে যাবে : হানিফ

366

ঢাকা, ২৩ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপিও জামায়াতের মত দেশের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কোন রাজনৈতিক ভবিষ্যত নেই। তারা ইতোমধ্যে রাজনীতিতে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এখন তারা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করবে। বিএনপি-জামায়াতের কোন নেতা-কর্মী যাতে আওয়ামী লীগ বা কোন সহযোগি সংগঠনে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তারা দলে ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।’
হানিফ আজ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাউছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও শহীদ বুদ্ধিজীবী কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপির পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী মেজবাউল আলম সাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস।
দেশে গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা নেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি গণমাধ্যমের সহায়তায় নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করতে পারছে।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে যে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল সে হামলায় তিনি বেঁচে গেলেও ২৪ নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছিল। এ সময়ে তারা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদেরসহ ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল।
হানিফ আরো বলেন, বিএনপি জামায়াতের এ ধরনের কর্মকান্ডের মাধ্যমেই প্রমাণ হয়, তারা কেমন গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধেও চেতনাকে ধ্বংস করতে এমন কিছু নেই, যা তিনি বরতে বাকী রেখেছেন। তিনি বলেন, জিয়া দালাল আইন বাতিল করে শাহ আজিজ, আব্দুল আলিমসহ সাড়ে এগারো হাজার স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। জামায়াতের আমির গোলাম আযমকেও দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন তিনি। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর তার কর্মকান্ডের মাধ্যমেই প্রমাণ হয়েছে।