তরুণ মেধাবীরাই ইংল্যান্ডের উজ্জল ভবিষ্যৎ : হেন্ডারসন

170

লন্ডন, ২১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : লিভারপুলের মিডফিল্ডার জর্ডান হেন্ডারসন বলেছেন, আলোড়ন সৃষ্টি করা তারুণ্য নির্ভর দলটিই ২০২০ ইউরো বাছাইয়ে ইংল্যান্ডের বেড়ে যাওয়া প্রত্যাশা পূরণ করবে। শুক্রবার চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাছাইপর্বের মিশন শুরু করবে ইংল্যান্ড। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
ম্যাচটিকে সামনে রেখে গ্যারেথ সাউথগেটের দলটি ২০১৯ সালে প্রথমবার একত্রিত হয়েছে। এরপর বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মঙ্গলবার মন্টেনাগ্রো যাবে ইউরো ২০২০ আসরের শিরোপার অন্যতম দাবীদার ইংলিশরা।
১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে পৌছানো ইংল্যান্ড ২০১৮ সালে নতুন শুরু হওয়া ন্যাশনাল লীগে স্পেন ও ক্রেয়োশিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে গিয়ে বছরটিকে আরো স্মরনীয় করে রেখেছে।
দীর্ঘ এক যুগ ধরে ব্যর্থতার গন্ডিতে ঘুপরপাক খাওয়া দলটি এবার দারুন অগ্রগতি প্রদর্শন করে চলেছে। হেন্ডারসনের বিশ্বাস সাউথগেটের এই স্কোয়াডের সেরাটা এখনো বাকী রয়েছে। প্রতিশ্রুতিশীল টিনএজার জর্ডান সানচো ও কালাম হাডসন-ওডয় এবং ২০ বছর বয়সি ডেকলান রিচ ইংল্যান্ড স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছে। হ্যারি কেনের নেতৃত্বাধীন দলটি এমনিতেই রাহিম স্টার্লিং, মার্কাস রাসফোর্ড এবং ডেলে আলির আলোয় আলোকিত। কোন রকম শংকাহীনভাবে নতুন অনুভুতির এই দলটির সঙ্গ দারুনভাবে উপভোগ করছেন হেন্ডারসনও।
ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে যাবার পর বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে নিজের দক্ষতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছেন সানচো। চেলসির হয়ে প্রিমিয়ার লীগে অভিষেক ঘটার অপেক্ষায় থাকা সত্বেও হাডসন-উদয় এখন ট্রাম্পকার্ড হয়ে উঠেছেন। আরো দুইজন তরুণ তুর্কী ইংল্যান্ডের মুল স্কোয়াডে ছিলেন। এরা হলেন চেলসি তারকা রুবেন লফটাস-চীক ও লিভারপুলের ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড। তবে ইনজুরির কারণে তারা বর্তমানে দলের বাইরে রয়েছেন। হেন্ডারসনের লিভারপুল সতীর্থ যো গোমেজ ইংল্যান্ডের হয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেও বর্তমানে ভাঙ্গা পা সারিয়ে তুলতে কাজ করছেন।
হেন্ডারসন বলেন,‘ ওই তরুনরাও দারুন মেধাবী। এটা ভাল দিক। এটি ইংল্যান্ডের জন্য ভাল হওয়ার কারণ, কয়েক বছরের মধ্যে আমরা বড় দল ও বড় খেলোয়াড় পেতে যাচ্ছি। তরুনরা সবে মাত্র শুরু করতে যাচ্ছে। তারা আরো অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে কয়েক বছরের মধ্যে আরো বেশী করে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করবে।
তরুনরা যেভাবে এগিয়ে আসছে এবং খেলছে সেটা এটি ইংল্যান্ডের জন্য একটি ভাল দিক এবং ভবিষ্যৎ উজ্জল করবে। আমারও দায়িত্ব রয়েছে, তাদের সহায়তা করতে হবে। এখানে তারা যেন স্বস্তিবোধ করে সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। এভাবেই একদিন তারা দলকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে, যেমনটি তারা নিজ নিজ ক্লাবকে এগিয়ে নিচ্ছে।’