কোন শিশু যেন বই থেকে বঞ্চিত না হয় : জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান

401

ঢাকা, ২১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেছেন, বই শিশুদের জীবন গড়ার জন্যে বিপুলভাবে কাজ করে। তিনি শিশুদের পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও নানা বিষয়ে অন্যান্য বই পড়তে পরামর্শ দিয়ে বলেন, অভিভাবকদের খেয়াল করতে হবে, কোন শিশু যেন বই থেকে বঞ্চিত না হয়।
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আজ বিকেলে ঢাকায় শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘শিশু একাডেমি বইমেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে এই আহবান জানান। তিনি শিশু একাডেমির স্বারকে স্বাক্ষর করে বইমেলা উদ্বোধন করেন।
শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির ভাষন দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিলন কান্তি নাথ। স্বাগত ভাষন রাখেন শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন। অনুষ্ঠানে শিশু একাডেমির প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধুকে লেখা ৭৩ চিঠি’ বইয়ে লেখা সেরা ১০টি চিঠি লেখক শিশুদের পুরস্কার প্রদান করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। একজন শিশুকে ‘সেরাদের সেরা’ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জমান বলেন, জাতিজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের শ্রম, মেধা এবং বিবেচনায় মানুষকে ভালবাসতেন। অন্যদেরও মানুষকে ভালবাসতে বলতেন। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস করার ফলে দেশের শিশুরা বঙ্গবন্ধুতে প্রাণখুলে ভালবাসার সুযোগ পাচ্ছে।
ছয় দিনব্যাপী বইমেলা চলবে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত মেলা চলবে রবিবার থেকে বৃহস্তপতিবার। শুক্র ও শনিবার মেলার সময় হচ্ছে সকাল ১১টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত। মেলায় সব ধরনের বই ২৫ ভাগ কমিশনে বিক্রি করা হচ্ছে। এবারের মেলায় ৭৬টি প্র্রকাশনাকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উদ্বোধনী দিনেই ৭৩টি স্টলে বই বিক্রি শুরু হয়েছে। স্টলুগলোতে ছোটদের উপযোগী নানা বিষয়ের বইয়ের সংখ্যাই বেশি। স্টলে ঘুরে দেখা গেছে,গত একুশের মেলায় প্রকাশিত বিপুল নতুন বইয়ের সমাহার ঘটেছে এ মেলায়।
উদ্বোধনীর পর মেলার মঞ্চে ঢাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিশু-কিশোররা গান, আবৃত্তি এবং নৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নেয়।