বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (২য় ও শেষ কিস্তি) : তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালা ছড়িয়ে দিতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

168

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (২য় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-মুজিব বর্ষ-বৈঠক
তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালা ছড়িয়ে দিতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং মতিয়া চৌধুরী, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বৈঠকে নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করেন।
২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর সরকার জাতির পিতার আদর্শে দেশটা গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বাধা-বিঘœ পেরিয়েই এ বছর আমরা জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগ অর্জনের দোরগোড়ায় উপনীত হয়েছি। মাথা পিছু আয় বেড়ে ১৯০৯ ডলার হয়েছে এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে মর্যাদা পেয়েছি তা ধরে রাখার জন্য ইতোমধ্যেই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে আমরা চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের, যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। তিনি বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। তিনি সব সময় চাইতেন তার দেশের মানুষ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জন করবে এবং বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে।
তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যেন একটা সুন্দর জীবন পায় সেটাই নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্য অর্জনেই তাঁর সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনে আমাদের সমাজে যারা বিশিষ্ট বিজ্ঞজন তাঁদেরকে নিয়ে আমরা একটা কমিটি করেছি ১০২ সদস্য বিশিষ্ট। তবে, এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এই কমিটিতে থাকা দরকার, যাদেরকে আমরা ধীরে ধীরে অন্তর্ভুক্ত করে নেব। সেই সাথে আমরা আরেকটি কমিটি করেছি ৬১ সদস্য বিশিষ্ট, যারা সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। তাছাড়া, বিভিন্নভাবে যেসব কমিটি করা প্রয়োজন সে ব্যাপারেও আপনাদের পরামর্শ নেব। কেননা, এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। তাছাড়া, আমরা দল হিসেবেও আওয়ামী লীগের আলাদা একটা কমিটি করেছি। সেক্ষেত্রে আপনাদের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর আমাদের হাতেও সময় খুব বেশি নেই। কারণ, নির্বাচনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য আমাদের বেশ কিছু সময় পেরিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তাঁরই পদাংক অনুসরণ করে এদেশের কৃষক, শ্রমিক এবং মেহনতি মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যার সুফলও মানুষ পেতে শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখের বিষয় যে, একটা সময় ছিল, ভাষা আন্দোলনে তাঁর (জাতির পিতার) অবদান একদমই মুছে ফেলা হচ্ছিল। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর যে অবদান সেটাও মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ২১ বছর এদেশের মানুষ সত্য জানতেই পারেনি।
তিনি বলেন, আসলে সত্যকে কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না। সত্য কখনও না কখনো উদ্ভাসিত হবেই আর তার স্থানটা সে করে নেবে। আজ আমরা সেটার প্রমাণ পাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে সেটাই হবে আমাদের প্রতিজ্ঞা।
বাসস/এএসজি-এফএন/১৫০০/আরজি