বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ : ডেন্টাল সার্জনরা সবাইকে মুখগহ্বরের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন : প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা

146

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩
শেখ হাসিনা-বাণী
ডেন্টাল সার্জনরা সবাইকে মুখগহ্বরের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন : প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা
ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০১৯ (বাসস ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এক বাণীতে বাংলাদেশের ডেন্টাল সার্জনরা তাঁদের মেধা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে মুখগহ্বরের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আশা করি, বাংলাদেশের ডেন্টাল সার্জনগণ তাঁদের মেধা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে মুখগহ্বরের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হবেন।” প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘ওয়ার্ল্ড ওর‌্যাল হেলথ ডে’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ শুধুমাত্র মুখগহ্বরের সঠিক যতœ না নেওয়ার কারণে দাঁত, মুখসহ শারীরিক নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে যা তাদের জীবনযাত্রাকে দুবির্ষহ করে দেয়। এই দিবসের মাধ্যমে এফডিআই ওয়াল্ডর্ ডেন্টাল ফেডারেশান এ ব্যাপারে যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়।’ প্রধানমন্ত্রী দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে মুখ ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সুস্থ-সবল জাতি গঠন অপরিহার্য। এজন্য সরকার ২০০৯ সাল থেকে স্বাস্থ্যখাতের উন্œয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন,জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি, বাংলাদেশ জনসংখ্যা নীতি, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, রক্ত পরিসঞ্চালন আইন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ইত্যাদি আইন প্রণয়ন করে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও চিকিৎসা সেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সকল দপ্তর নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম ও তথ্য জনগণকে পৌঁছে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে একটি সমন্বিত ও কার্যকর সেবায় রূপান্তরের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগ কাজ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে এ নেটওয়ার্কের আওতায় এনে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ সকল পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে স্বাস্থ্যখাতে যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৮৫৫/কেএমকে