রোগীবান্ধব হাসপাতাল গড়তে পারলেই স্বাস্থ্যসেবায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

386

ঢাকা, ১৭ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। রোগীবান্ধব হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারলেই স্বাস্থ্য সেবায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন বাস্তবায় সম্ভব হবে।
আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা এদেশের গরীব দুঃখী মানুষের জন্য সহজলভ্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসকদের কর্তব্যনিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্নপুরণের লক্ষ্যে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা, যন্ত্রপাতি সচল রাখাসহ চিকিৎসকদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএমএর সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও সাহসিকতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তাঁকে অনুসরণ করেই মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ আত্মত্যাগ করেছিল।
তিনি বলেন, যারা তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ঝরিয়েছিল তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে শহীদদেরকে অপমান করা হয়েছিল। এদেশের জনগণ এই দৃশ্য আর দেখতে চায় না। যারা স্বাধীনতা চায়নি তারাই নৃশংসভাবে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যা, পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা, ২০১৩-২০১৪ সালে নিরীহ মানুষের উপর পেট্রোল বোমা হামলা সব একই সূত্রে গাঁথা।