নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা ও সহিংসতা বন্ধে পিইউআইসিকে সোচ্চার ও সক্রিয় হতে স্পিকারের আহবান

743

ঢাকা, ১৪ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা ও সহিংসতা বন্ধে পিইউআইসিকে সোচ্চার ও সক্রিয় হতে আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ মরক্কোর রাবাতে অনুষ্ঠিত পিইউআইসির ১৪তম সম্মেলনে জেনারেল কমিটির সভায় বক্তৃতাকালে এ আহবান জানান।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এসময় স্পিকার বলেন, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন অব দ্যা ওআইসি মেম্বার স্টেটস (পিইউআইসি) মুখপাত্র হিসেবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পিইউআইসি অগ্রবর্তী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
তিনি বলেন, পিইউআইসি সার্বজনীন নৈতিকতার কন্ঠস্বর হয়ে কাজ করতে পারে। ওআইসি’র বিবেচ্য আন্তর্জাতিক সকল বিষয়ে এ সংগঠন আরও কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত হয়ে মুসলিম উম্মাহর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। পাঁচ দফার প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন সম্ভব বলে উল্লেখ করেন স্পিকার। জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে মিয়ানমারের সদিচ্ছাই দিতে পারে রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও টেকসই সমাধান। এ সময় তিনি পিইউআইসির প্রতিনিধি দলকে গত ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেবর বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তেহরানে গত বছরের ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পিইউআইসির ১৩তম সম্মেলনে নিরীহ ও নিরস্ত্র রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংগঠনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, ওআইসির কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ এর আওতায় ব্লু ইকোনমি, গ্রিন ইকোনমি, আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ স্থাপন, আঞ্চলিক সম্বনিত অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, ওআইসিভূক্ত দেশসূহের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে যা বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম, এস এম শাহজাদা এমপি, সৈয়দা জাকিয়া নূর এমপি, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি এবং সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান অংশগ্রহণ করেন।