নৌপথ খননের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জিডিপি’র হার ডাবল ডিজিটে উন্নীত করা হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

205

ঢাকা, ১২ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌপথ সৃষ্টি করা একটি চ্যালেঞ্জের কাজ। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জিডিপি’র হার ডাবল ডিজিটে উন্নীত করা হবে। নৌপথ খননে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তরা এগিয়ে আসছে- এটি একটি ভাল দিক।
আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ‘মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কশপ অন ড্রেজিং : অপরচুনিটিজি এন্ড চ্যালেঞ্জেস’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও নৌ-সচিব মো: আবদুস সামাদ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ভোলা নাথ দে।
ওয়ার্কশপে জানানো হয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধিন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ৭টি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ দু’টি এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি করে মোট ১১টি ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ ৭৬ হাজার ঘনমিটার ড্রেজিং করা হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত এক কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার ঘনমিটার ক্যাপিটাল ও সংরক্ষণ ড্রেজিং বাবদ ২৮৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে খুনিচক্র দেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নদী খননে কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি, তারা পরিকল্পিতভাবে নৌপথকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তারা কোনরকমে নামকা ওয়াস্তে ড্রেজিং করেছে, ড্রেজিং এর নামে তখন দুর্নীতি হয়েছে।
‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে’’- একথার গুরুত্ব উপলব্ধি করে খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, এখন সময় এসেছে দেশের জন্য ভাল কিছু করার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে বর্তমান সময় ও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে হবে।