সফররত মন্ত্রী জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে : সৌদি বাদশাহ বাংলাদেশের সঙ্গে অধিকতর অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী

467

ঢাকা, ৭ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ বাংলাদেশের সঙ্গে অধিকতর অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সৌদি আরবের সফররত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কুশইবি আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে এক বৈঠকে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সৌদি মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের একথা জানান।
বৈঠকে সফররত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন মাজিদ আল তাবিজরিও এই সৌজন্য সাক্ষাতকারে উপস্থিত ছিলেন। ড. মাজিদ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে আসার আগে গত সোমবার মহামান্য বাদশাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করেন।’
প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে তারা সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ ও যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীকে পৌঁছে দেন। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিশাল অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। দুই মন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বাংলাদেশকে এশিয়ান টাইগার হিসেবে অভিহিত করেন। তারা দ্রুত দারিদ্র্য হ্রাসেরও প্রশংসা করে বলেন, এ ক্ষেত্রে তারা যে সাফল্য দেখছেন তা তাদের প্রত্যাশারও বাইরে।
তারা বলেন, দুই দেশের বিদ্যমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে তারা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান।
মন্ত্রীদ্বয় বলেন, তারা বাংলাদেশে রেলওয়ে, বিমান চলাচল এবং ডাক ও যোগাযোগসহ ৭টি খাত চিহ্নিত করেছেন। এসব খাতে সৌদি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী।
তারা বাংলাদেশের রফতানি আয় ১০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়াকে বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
তারা চকবাজার অগ্নিকান্ডে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের দুই মন্ত্রীকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দুই মন্ত্রীর মাধ্যমে সৌদি বাদশাহকে তাঁর শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের আরো উন্নয়ন। যদিও বাংলাদেশ আয়তনে ছোট দেশ এবং জনসংখ্যাও অনেক বেশি। তিনি কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন খাতে তাঁর সরকারের সাফল্যের উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে বলেন, বাংলাদেশে অধিক শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য তাঁর সরকার ১শ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।
প্রধান বলেন, শিল্প স্থাপনে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের পছন্দে আমরা জমি দিচ্ছি। বাংলাদেশে রয়েছে বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার লালমনিরহাটে একটি এভিয়েশন এন্ড এয়ারোনটিক্স বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে, এ লক্ষ্যে আইনও পাস হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী এ এইচ এম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।