বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ কাজ করে যেতে চায় : প্রধানমন্ত্রীকে ইইউ দূত

543

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-ইইউ দূত
বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ কাজ করে যেতে চায় : প্রধানমন্ত্রীকে ইইউ দূত

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির উপর বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি- জামায়াতের শাসনামলে হিন্দুরা ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হয়েছিল।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার সাথে দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা যৌথ উদ্যোগে করা যেতে পারে।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তাঁর জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক।
বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ে খাতে যুক্তরাজ্যের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে উল্লেখ করে পদ্মা সেতু থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে যুক্তরাজ্যের সহায়তা কামনা করেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম দিকে নারীর ক্ষমতায়ন তাঁর সরকারের জন্য খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা সাবলীলভাবেই চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক দুইদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ক আগামিদিন গুলোতে আরও মজবুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার বলেন, তার দেশ জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারন করে বলেন, ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে লন্ডনে গিয়ে পৌঁছেন এবং তৎকালিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সাথে বৈঠক করেন।
উভয় বৈঠককালেই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এসএইচ/অনু-এমকে/২৩০০/এবিএইচ