পাটের বাজার সম্প্রসারণে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে : গোলাম দস্তগীর গাজী

203

সংসদ ভবন, ৫ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও বিপণনে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি আজ সংসদে বিরোধীদলের সদস্য মো. মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পদক্ষেপ হিসাবে অভ্যন্তরীণ বাজারে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৯টি পণ্যের মোড়কীকরণে প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারে ১৯টি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্রত্যেক জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
পাটমন্ত্রী বলেন, পাট খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ‘পাট আইন-২০১৭’ এবং ‘জাতীয় পাটনীতি-২০১৮’ প্রণয়ন করেছে। নতুন পণ্য উদ্ভাবন, বিপণন এবং বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ (জেডিপিসি) ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, নতুন পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্যে নানা ধরনের গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। পাট থেকে ভিসকস্্, পাট পাতা থেকে পানীয়, পাট থেকে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প সোনালী ব্যাগ, পাটকাঠি থেকে চারকোল এবং জুট কম্পোজিট গার্মেন্টস্-ডেনিম পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহের সহযোগিতায় পাটপণ্যের প্রদর্শনী ও প্রচারের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য মো. আব্দুল আজিজের অপর এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, গত অর্থবছরে দেশে ৬ লাখ ১৮ হাজার ৬৩২ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান, ভারত, চীন, নেপাল, আইভরিকোস্ট, জিবুতি, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল, আলসালভেদর, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, তিউনিশিয়া এবং জার্মানিতে পাট রপ্তানি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাটের বাজার উন্মুক্ত বিধায় সরকার কর্তৃক পাটের মূল্য নির্ধারণ বা বৃদ্ধি করা হয় না। পাটের আঁশের গুণাগুণ এবং বাজার চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পাটের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি হয়ে থাকে।