কামাল হোসেন ও তার অনুসারীদের রাজনীতি ধ্বংসের পথে : ওবায়দুল কাদের

600

ঢাকা, ২ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং তার অনুসারীদের রাজনীতি ধ্বংসের পথে।
তিনি বলেন, ‘ছদ্মবেশী, বিধ্বংসী যে রাজনীতি তারা করেন, সেই বিধ্বংসী রাজনীতি ধ্বংসের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন প্রদত্ত বক্তব্য সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। এসময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের ইতিহাস বলে, যারা বয়কট করবে, তাদের কিন্তু জনবিচ্ছিন্নতা, রাজনৈতিক ভাগ্য অনিবার্য হয়ে গেল। বিএনপিকেও একথা বলি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রকে পুরোপুরি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার আগে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আমাদের অতিক্রম করতে হবে। এটা থাকবে এবং এটা নিয়ে এগোতে হবে। নির্বাচন করতে করতে একসময় দেখা যাবে প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র রূপ নিয়েছে।’
সিটি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। যাঁরা এসব অপবাদ দেন, তাঁদের সরেজমিন গিয়ে উপজেলা নির্বাচন দেখতে বলুন। তারপর তাঁদের ধারণা কত অমূলক, অলীক, এর প্রমাণ পাবেন।
তিনি বলেন, সিটি উপনির্বাচনের দিন সারা দিন মেঘলা আকাশ থাকার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে, বিকেলে মেঘলা আকাশ না থাকায় ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে। আকাশ মেঘলা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে যাঁরা আসতে পারেননি, দুপুরের পর থেকে তাঁরা আসতে শুরু করেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে অনেকের আশঙ্কা ছিল, প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্ত করে দেয়ার পর সংঘাত-সহিংসতা হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত কোথাও কোনো খারাপ ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, ৩৬টি ওয়ার্ডের কোথাও কোথাও ১০ জন করে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তবু কোথাও কোনো সংঘর্ষ হয়নি।
বিএনপির আমলের প্রসঙ্গ এনে কাদের বলেন, ‘সিটি নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনের পরপরই সাদেক হোসেন খোকা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, তখন তো কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি।
এত বড় সিটি এখানে কিন্তু কেউই মনোনয়নপত্র দিতে পারেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার তো কোনো বাধা ছিল না। বিএনপি যদি চাইত, তারা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারত। জাতীয়, স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউকে বাধা দিইনি।