বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে : সরকারি দল

977

সংসদ ভবন, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদমুক্ত করে নতুন প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, কর্মচঞ্চল তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তারা রাষ্ট্রপতির ভাষণকে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ঐতিহাসিক দলিল বলে উল্লেখ করেছেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর এ আলোচনা শুরু হয়। ওই দিন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ. স. ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ ১৬তম দিনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সরকারি দলের সামছুল আলম দুদু, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মোজাফফর হোসেন, আতাউর রহমান খান, আসলাম হোসেন সওদাগর, সেলিম আলতাফ জর্জ, জুয়েল আরেং, শেখ এ্যানী রহমান, কানিজ ফাতেমা আহমেদ, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, মোছা. খালেদা খানম, বাসন্তী চাকমা, জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম ও জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয় ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানব সম্পদের উন্নয়ন, শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি, সকলের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে রূপকল্প নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল যোগ্যতা অর্জন করে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসীত হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে, এটাই জাতির প্রত্যাশা। এই প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল করে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, কর্মচঞ্চল জনপদ তৈরি করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ করেছেন। এরপর আর কেউ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণে উদ্যোগ নেয়নি। জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আবারো জাতীয়করণের মাধ্যমে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় শিক্ষার মানোন্নয়নে একটি যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন অবিলম্বে কেরানীগঞ্জ শিল্পনগরীতে স্থানান্তরের আহবান জানান বিরোধী দলের সদস্য সালমা ইসলাম।
সরকারি দলের অপর সদস্যরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এমন অবস্থানে রয়েছে সেদিন আর বেশি দূরে নয় বাংলাদেশ উন্নয়নের চরম শিখরে উপনীত হবে।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জ্ঞানভিত্তিক জনকল্যাণকামী দেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির আশা আকাঙ্খা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তাঁর নেতৃত্বে আজ দেশ খাদ্যে, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঘোষিত সময়ের মধ্যে দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।