ভারতের বিমান হামলায় পাকিস্তানের মদদপুষ্ট বহুসংখ্যক জঙ্গি নিহত : নয়াদিল্লীর দাবি

245

নয়াদিল্লী, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক) : ভারত বলছে, পাকিস্তানের জঙ্গি আস্তানায় তাদের মঙ্গলবারের বিমান হামলায় বহুসংখ্যক জঙ্গি নিহত হয়েছে। পাকিস্তান সমর্থিত এসব জঙ্গি ভারতের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে নয়াদিল্লী দাবি করেছে। পাকিস্তান অবশ্য বলেছে, এতে কোন হতাহত হয়নি।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চির বৈরি দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে বলেন, হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসী, প্রশিক্ষক, সিনিয়র কমান্ডারসহ বেশ কিছু সদস্য নিহত হয়েছে যাদেরকে আত্মঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছিল।
নয়াদিল্লীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জইশ-ই-মোহাম্মদ দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারো শিগগীরই আত্মঘাতী হামলা চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছিল।
এদিকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর টুইটার বার্তায় বলেন, ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তান ও ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সীমানা লঙ্ঘন করেছে। তবে ভারতীয় বিমান হামলায় ক্ষয়-ক্ষতির কথা তিনি অস্বীকার করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জঙ্গি আস্তানাটি বালাকোটে অবস্থিত। তবে মন্ত্রণালয় বিস্তারিত আর কিছু উল্লেখ করেনি এবং আস্তানাটি ঠিক কোথায় অবস্থিত তাও জানায়নি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বালাকোট অবস্থিত যা নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মিরের বাইরে পাকিস্তানী ভূখন্ডে চালানো এ হামলা প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকে উষ্কে দেবে।
এদিকে চীন পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী এ দুই দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেন, ‘আমরা আশা করছি ভারত ও পাকিস্তান এমন কিছু পদক্ষেপ নেবে যার ফলে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এটি ভারতের প্রথম বিমান হামলা।
এদিকে এ হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দু’জনেই নিজ দেশে শীর্ষ মন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে যে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ সৈন্য নিহত হয়েছে, জইশ-ই-মোহাম্মদ সে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছিল। এর পরপরই ভারত পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার রাজস্থানের এক সমাবেশে মোদি সরাসরি হামলা নিয়ে কিছু বলেননি।