বাসস দেশ-২০ : শেষ পর্বে গ্রন্থমেলায় বেচাকেনা জমে উঠেছে

175

বাসস দেশ-২০
গ্রন্থমেলা- বেচাকেনা
শেষ পর্বে গ্রন্থমেলায় বেচাকেনা জমে উঠেছে
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ পর্বে বেচাকেনা জমে উঠেছে। সব বয়সী পাঠক- ক্রেতারা এখন ব্যস্ত পছন্দের বই কেনায়। বিক্রেতারা শেষ সময়ের বিক্রি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আজ বিভিন্ন স্টল ঘুরে বিক্রেতাদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, এখন অসংখ্য ক্রেতা বইয়ের তালিকা দেখে দেখে ক্রয় করছেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে স্কুল-কলেজ, বিভিন্ন লাইব্রেরী ও প্রতিষ্ঠানের লোকজন পছন্দের বই কিনছেন।
বাংলা একাডেমির প্যাভিলিয়ন থেকে বিক্রয় বিভাগের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাসসকে জানান, মেলার শেষ দিকে এসে তাদের বিক্রি জমে উঠেছে। একাডেমির প্রকাশনা সাধারণত বিভিন্ন বয়সী পাঠক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা পছন্দ করেন। এবার বিভিন্ন বিষয়ের অভিধান, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি সিরিজের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আগামী প্রকাশনী থেকে সংস্থার স্বত্তাধিকারী ওসমান গণি জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ছয়টি বই তাদের স্টলে বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া হুমায়ুন আজাদের বইগুলোও ভাল বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
পারিজাত প্রকাশনী থেকে শওকত হোসেন লিটু জানান, তাদের স্টলে শুরু থেকেই ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং কয়েকটি উপন্যাস ভাল বিক্রি হচ্ছে। ছোটদের নয়টি বই এবার তারা প্রকাশ করেছেন। এই বইগুলোও কাটতি ভাল বলে জানান।
অন্বেষা’র স্বত্তাধিকারী শাহাদাত হোসেন জানান, তারা এ পর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদের ১১টি বই প্রকাশ করেছেন। এই বইগুলো এবারও ভাল বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কয়েকজন লেখকের শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধের বইও বিক্রি ভাল হচ্ছে এই স্টলে।
আজ মেলার ২৫তম দিবসে ১৪৫টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে পঁচিশ দিনে এবারের মেলায় মোট ৪ হাজার ৯৯টি নতুন বই প্রকাশিত হলো। মেলার তথ্য কেন্দ্র থেকে বাসসকে এ তথ্য জানান হয়। গত বছরের মেলায় পঁচিশ দিনে বই প্রকাশ পেয়েছিল ৪ হাজার ১৮৩টি।
আজ মেলার মূলমঞ্চে ‘বাংলাদেশের অনুবাদ সাহিত্যের চালচ্চিত্র ’শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, বাংলাদেশের অনুবাদ সাহিত্যের অবস্থাটা এখনও শুরুর পর্বটাই চলছে। বিদেশী সাহিত্যের যতটা বাংলায় অনুবাদ হচ্ছে, বাংলাসাহিত্য অন্যভাষায় ততটা নয়। উভয় ক্ষেত্রেই পরিকল্পিতভাবে অনুবাদকর্ম জোরদার করার জন্য অভিমত রাখেন তিনি।
সভায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, অনুবাদ সাহিত্য এক ভাষার সাহিত্য অন্যভাষার মানুষের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে। সাহিত্যের বই অনুবাদের জন্য বাংলা একাডেমি দীর্ঘকাল ধরে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। প্রকাশনা সংস্থাগুলোকেও বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ঘরানার বই ইংরেজীসহ অন্যভাষায় মানসম্মত অনুবাদের ব্যবস্থা নিলে নিশ্চয়ই আমাদের অনুবাদ সাহিত্যে উন্নয়ন ঘটবে।
এ সময় আলোচনায় আন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, আনিসুর রহমান, আলম খোরশেদ ও রাজু আলাউদ্দিন। সন্ধ্যায় ছিল কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাসস/এইচএ/১৮৫৪/-জেজেড